কোচবিহারের এক ইতিহাস অনুসন্ধানী ঋষিকল্প পাল জানান, \”১৮০৭ সাধারণ আব্দ নাগাদ এই দিঘি খনন করা হয়। এই দিঘির ঐতিহাসিক তাৎপর্য যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে পর্যটনের দিক থেকেও অনেকটাই তাৎপর্য। দীর্ঘ সময়ের প্রাচীন এই দীঘি শুধুমাত্র পর্যটনের উদ্দেশ্যেই খনন করা হয়নি। রাজ আমলের তৎকালীন পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে এই দিঘি খনন করা হয়েছিল। যদিও বর্তমান সময়ে পানীয় জলের সেই সমস্যা আর নেই। তাই ধীরে ধীরে এইদিকেই বর্তমানে পর্যটনের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।\”
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
তিনি আরোও জানান, \”এই সাগরদিঘি একটা সময় মেদিনী সাগর নামেও পরিচিত ছিল কোচবিহারে। মূলত মাটির মধ্যে এত বড় এক জলাশয়ের কারণেই এর এই নাম দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে এই দিঘির একাধিক সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। তবে উনিশ শতকের শেষের দিকে এই দিঘির একবার সম্প্রসারণ করা হয়। যার ফলে দিঘিটি বর্তমানের এই আকারটি পেয়েছে। বর্তমানে এই দিকেটির চারিপাশের সংস্কার কাজ করা হয়েছে বেশ অনেকটাই। এছাড়াও বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।\”
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh Abhishek Banerjee: বয়কট বিতর্কে শিল্পীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপরেই জোর দিলেন অভিষেক
মূলত এই সমস্ত সংস্কার কাজের কারণে এই দিঘির প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বেড়ে উঠছে। নতুন বছরের শুরুর সময় থেকেই দিঘি চত্বরে আনাগোনা বেড়ে উঠেছে পর্যটকদের। ফলে জেলাবাসীর অধিকাংশের মত নতুন বছরে পর্যটনের ক্ষেত্রে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে এই সাগরদিঘি। তবে এই দিঘি চত্বর সুরক্ষিত রাখার কারণ জন্য আরোও বেশ কিছু জরুরী পদক্ষেপ নিতে হবে জেলা প্রশাসনকে। তাহলেই সাগরদিঘি চত্বর পর্যটকদের আরোও অনেকটাই আকর্ষণ করবে।
Sarthak Pandit