বর্তমান মালদহের আদিনায় রয়েছে এই প্রাচীন স্নানাগার। আদিনা ফরেস্ট সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে এটি। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জঙ্গলে ভরে গিয়েছিল। তবে বর্তমানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জায়গাটির সংস্কার করা হচ্ছে। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে সংস্কার করার কাজ শুরু হয়েছে।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
ইতিহাসবিদের মতে, এই স্নানাগারটি মধ্যযুগে তৈরি হয়েছিল। সেই সময় বাংলার সুলতান ছিলেন সামসুদ্দিন ইলিয়াস শা। তাঁর রাজপ্রাসাদ ছিল আদিনা পান্ডুয়া জুড়ে। সেই সময় তিনি প্রথম তৈরি করেছিলেন এই স্নানাগারটি। এটিকে বলা হত হামাম। হামাম আরবি শব্দ। এর অর্থ হল স্নানাগার। মধ্যপ্রাচ্য এর আবিষ্কারক হয়। তুরস্কে গিয়ে এই হামাম আরও উন্নত হয়। সেই সময়েই বাংলার সুলতান তাঁর রাজপ্রাসাদে সেই সময়ের অত্যাধুনিক স্নানাগরটি তৈরি করেছিলেন। যেখানে সাতটি স্নান করার ঘর রয়েছে। প্রতিটি ঘরে বাথটাব থেকে গরম ও ঠান্ডা জলের সুব্যবস্থা করা হয়েছিল। বর্তমানে স্নানাগারটির ধ্বংসাবশেষ রয়ে গিয়েছে মালদহের আদিনায়। ইতিহাসবিদ এম. আতাউল্লাহ বলেন, এটি মধ্যযুগের তৈরি হয়েছিল। তৎকালীন সুলতান তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে এটি মালদহের আদিনায় অবস্থিত। সেই সময়ের এটি আধুনিক স্নানাগার ছিল। বর্তমানে সেটির সঠিক সংস্কার করলে পর্যটকদের জন্য ভাল হবে। প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সংস্কার করার।
সম্ভাবত ১৯৯২ সালে এটির একবার সংস্কার করা হয়েছিল। তারপর পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। বর্তমানে মালদহ জেলা প্রশাসন আবার এই প্রাচীন নিদর্শনটির সংস্কার শুরু করেছে। এটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ সংস্কার করতে পারলে পর্যটকদের পাশাপাশি ইতিহাস গবেষকদেরও অনেকটা সুবিধা হবে বলে মনে করছেন জেলার ইতিহাসবিদরা।
হরষিত সিংহ