TRENDING:

Old Geyser: এই বাংলাতেই তৈরি হয়েছিল প্রথম আধুনিক বাথরুম, বাথটাব থেকে গিজার সেখানে ছিল সব, রইল পুরনো ছবি

Last Updated:

মধ্যযুগে তৈরি হয়েছিল স্নানাগারটি, ছিল অত্যাধুনিক সুব্যবস্থা, বর্তমানে সিটিতে ধ্বংসাবশেষ রয়েছে মালদহের আদিনায়

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালদহ: মধ্যযুগে ভারতে তৈরি হয়েছিল অত্যাধুনিক স্নানাগার। দিল্লি নয়, সেই সময় প্রথম বাংলায় তৈরি হয়েছিল স্নানাগার। যেখানে ছিল আধুনিক সমস্ত সুব্যবস্থা। সেই সময়েই বাংলায় তৈরি স্নানাগারে ছিল গরম বাষ্পীয় জলের সুব্যবস্থা। বর্তমানে যা গিজার। এছাড়াও ছিল ঠান্ডা জলের সুব্যবস্থা। স্নানাগারের মধ্যে ছিল স্নান করার বাথটাব। সেই স্নানাগারের ধ্বংসাবশেষ এখনও রয়েছে মালদহে।
advertisement

বর্তমান মালদহের আদিনায় রয়েছে এই প্রাচীন স্নানাগার। আদিনা ফরেস্ট সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে এটি। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জঙ্গলে ভরে গিয়েছিল। তবে বর্তমানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জায়গাটির সংস্কার করা হচ্ছে। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে সংস্কার করার কাজ শুরু হয়েছে।

“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”

advertisement

ইতিহাসবিদের মতে, এই স্নানাগারটি মধ্যযুগে তৈরি হয়েছিল। সেই সময় বাংলার সুলতান ছিলেন সামসুদ্দিন ইলিয়াস শা। তাঁর রাজপ্রাসাদ ছিল আদিনা পান্ডুয়া জুড়ে। সেই সময় তিনি প্রথম তৈরি করেছিলেন এই স্নানাগারটি। এটিকে বলা হত হামাম। হামাম আরবি শব্দ। এর অর্থ হল স্নানাগার। মধ্যপ্রাচ্য এর আবিষ্কারক হয়। তুরস্কে গিয়ে এই হামাম আরও উন্নত হয়। সেই সময়েই বাংলার সুলতান তাঁর রাজপ্রাসাদে সেই সময়ের অত্যাধুনিক স্নানাগরটি তৈরি করেছিলেন। যেখানে সাতটি স্নান করার ঘর রয়েছে। প্রতিটি ঘরে বাথটাব থেকে গরম ও ঠান্ডা জলের সুব্যবস্থা করা হয়েছিল। বর্তমানে স্নানাগারটির ধ্বংসাবশেষ রয়ে গিয়েছে মালদহের আদিনায়। ইতিহাসবিদ এম. আতাউল্লাহ বলেন, এটি মধ্যযুগের তৈরি হয়েছিল। তৎকালীন সুলতান তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে এটি মালদহের আদিনায় অবস্থিত। সেই সময়ের এটি আধুনিক স্নানাগার ছিল। বর্তমানে সেটির সঠিক সংস্কার করলে পর্যটকদের জন্য ভাল হবে। প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সংস্কার করার।

advertisement

View More

আরও পড়ুনSnowfall in Sandakphu: তুষারপাতের অ্যালার্ট সত্যি করে সাদায় সাদা হয়ে গেল সান্দাকফু, ২০২৫- এ প্রথমবার বরফে ঢাকল, রইল ফটো

সম্ভাবত ১৯৯২ সালে এটির একবার সংস্কার করা হয়েছিল। তারপর পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। বর্তমানে মালদহ জেলা প্রশাসন আবার এই প্রাচীন নিদর্শনটির সংস্কার শুরু করেছে। এটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ সংস্কার করতে পারলে পর্যটকদের পাশাপাশি ইতিহাস গবেষকদেরও অনেকটা সুবিধা হবে বলে মনে করছেন জেলার ইতিহাসবিদরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

হরষিত সিংহ

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Old Geyser: এই বাংলাতেই তৈরি হয়েছিল প্রথম আধুনিক বাথরুম, বাথটাব থেকে গিজার সেখানে ছিল সব, রইল পুরনো ছবি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল