দার্জিলিং থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কার্শিয়াং শহরের এই জায়গা মনমুগ্ধকর ভিউ পয়েন্ট। ঈগলস ক্র্যাগ কার্শিয়াং শহরের সর্বোচ্চ স্থানের মধ্যে একটি হওয়ায় সঙ্গে এই জায়গাটির একটি ঐতিহাসিক কোণও রয়েছে। এই জায়গাটির নির্মল সৌন্দর্য্যের টানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নেতাজি সুভাষ বসু জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন বহুবার।
আরও পড়ুন: রোজ যত খুশি হাঁটলে উল্টে শরীরের ক্ষতি! বয়স অনুযায়ী হাঁটার পরিমাণ আলাদা, কতটা হাঁটবেন জানুন
advertisement
ঈগলস ক্র্যাগে অষ্টভুজাকার পাখির খাঁচার মতো একটি সুন্দর ওয়াচ টাওয়ার এবং একটি ফুলের বাগান রয়েছে । এই জায়গায় দাঁড়িয়ে হিমলয়ান রেঞ্জের প্যানোরামিক ভিউ যে কোনও মানুষকে এক অনাবিল আনন্দ প্রদান করবে। পরিষ্কার ঝকঝকে দিনে একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য , অন্য দিকে শিলিগুড়ির শহর , নেপালের পাহাড়, নদী এবং চা বাগানের একটি দুর্দান্ত দৃশ্য মন ভাল করে দেয় সকলের। এছাড়াও এখানে একটি খুকরি (ঐতিহ্যগত নেপালি ছুরি)-সহ একটি স্মৃতিস্তম্ভ, শিরোনাম ‘শহিদ স্মারক’ সম্প্রতি গোর্খা যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: খেজুরের নামে চিনা জুজুবি ফল খাচ্ছেন না তো? কীভাবে বুঝবেন? আসল খেজুর চেনার উপায় জানুন
উনিশ শতকের সময়কালে যখন রবিঠাকুর, নেতাজি এবং সিস্টার নিবেদিতা কাছাকাছি বাসভবনে থাকতেন। তখন তাঁদের নিত্য যাতায়াত ছিল এই জায়গায়। অনেক পুরনো কটেজ আজও দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পত্তি হওয়ায় সেখানে পর্যটকদের যাতায়াত নেই। এখন এই ঈগল ক্র্যাগ সকলের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই। সারা দেশ থেকেও এখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। ছুটির দিনে শিলিগুড়ি থেকে আসা এক পর্যটক তমালি রায় বলেন, “এই জায়গার অপরূপ সৌন্দর্য আমাকে সব সময় মুগ্ধ করে। ওয়েদারটা দারুণ সুন্দর, যখনই সুযোগ হয় তখনই চলে আসি।”
কীভাবে পৌঁছবেন
কলকাতা থেকে ট্রেন, বাস কিংবা আকাশ পথে পৌঁছে যেতে হবে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে নামমাত্র ৪৭ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করলেই পৌঁছে যাওয়া যায় কার্শিয়াং। সেখান থেকে স্টেশনের পাশ দিয়ে বাঁদিক দিয়ে চলে গেলেই কার্শিয়াং শহরের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ঈগল ক্র্যাগ।
অনির্বাণ রায়