কারণ একটাই।এই গ্রামে পরপর তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মানুষের মধ্যে ভূতের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে যে সন্ধ্যা হতে না হতে তাঁরা আর ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, দিনের বেলাতেও এখানকার গ্রামবাসীদের মধ্যে চোখে মুখে ভূতের আতঙ্কের ছাপ দেখা যাচ্ছে।
এদিকে এই ঘটনার খবর জানা মাত্রই কালিয়াগঞ্জ ব্লক মেডিক্যাল অফিসার-সহ জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ ঘটনাস্থলে এসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করেন এবং আগামিদিনে গ্রামবাসীদের করণীয় কী, সে ব্যাপারেও তাঁরা গ্রামবাসীদের একত্রিত করে সচেতন করেন। তবে কী কারণে এই ভূতের ভয়?
advertisement
আরও পড়ুন : চড়চড়িয়ে বাড়বে ব্লাড সুগার! এই ভুলগুলি করলেই ডায়াবেটিসে ঝাঁঝরা হবে শরীর
জানা যায় এই গ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে একের পর এক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা মতো ঘটনা ঘটছে বিনা কারণেই। তাই গ্রামবাসীদের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে এটা কোনও অপদেবতার কাজ। তাই এমন ভাবে আত্মহত্যা হচ্ছে গ্রামে।
বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য মলয় আদব বলেন, ‘‘ভূত বলে কিছু হয় না। এটা ওনাদের মনের ভুল। তাই ভুল ভাঙাতে আমরা এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি।সাধারণ গ্রামবাসীদের মধ্যে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ভূতের ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। বাড়ি থেকে কেউই বের হতে চাচ্ছেনা সন্ধ্যার পর। আমরা এখানে এসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদেরক সচেতন করছি এবং আগামী দিনে কী কী করা উচিত গ্রামবাসীদের সেটাও আমরা বুঝিয়েছি।
এদিকে যখন প্রশাসনের কর্মকর্তারা গ্রামের সাধারণ মানুষদের কাছে আসেন তখন এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই তাদের আতঙ্কের কথা তাদের সামনে ব্যক্ত করেন। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের গোটা গ্রাম ঘুরে বেড়ায় এবং সাধারণ মানুষদের মধ্যে ভূত নিয়ে যে একটা গুজব ছড়িয়েছে সে বিষয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সচেতন করান।