সংসারের আর্থিক টানাপোড়েনে বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। অবশেষে আশ্রয় খুঁজেছিলেন চিকিৎসক প্রথমা দের কাছে। রোগীর অবস্থার গুরুত্ব বুঝে প্রথমা দে তাঁকে দ্রুত ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে একাধিক পরীক্ষায় উঠে আসে ভয়াবহ সত্য। রিজুয়ানার বুকে বিপজ্জনকভাবে গ্যাস জমে রয়েছে। অর্থাৎ নিউমোথোরাক্স। যে অবস্থায় যেকোনও সময় ঘটতে পারত বড় বিপর্যয়। দ্বিধা না করে চিকিৎসক প্রথমা দে সিদ্ধান্ত নেন জটিল অস্ত্রপচারের।
advertisement
আরও পড়ুন : জিরো ইনভেসমেন্ট বিজনেস, মহিলাদের হাতে আসছে হাজার হাজার টাকা! কচুরিপানায় আয়ের নয়া দিশা
সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোর মধ্যেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শুরু হয় অপারেশনের প্রস্তুতি। অবশেষে অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়। কয়েক ঘণ্টার উদ্বেগের পর ডাক্তারদের মুখে শোনা যায় আশার কথা। রিজুয়ানা এখন নিরাপদ, ধীরে ধীরে ফিরছেন সুস্থ জীবনে। পরিবারের চোখে জল। কিন্তু তা উদ্বেগের নয়, স্বস্তির। তাঁরা জানান, “আমরা এত টাকা কোথায় পেতাম? সরকারি হাসপাতাল না থাকলে হয়তো রিজুয়ানা আজ বাঁচতই না।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চিকিৎসক প্রথমা দে বলেন, “অপারেশন না হলে রোগীর মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত ছিল। আমরা শুধু চিকিৎসা করিনি, চেষ্টা করেছি সাধারণ মানুষের মনে সরকারি হাসপাতালের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে দিতে।” ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের এই সাফল্য আবারও প্রমাণ করল, সঠিক উদ্যোগ, দক্ষ চিকিৎসা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই পারে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। রিজুয়ানার বেঁচে ফেরার গল্প তাই শুধু এক রোগীর সুস্থতা নয়, এ যেন উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবার এক নিঃশব্দ জয়গান।





