সূত্রের খবর, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেনটি রওনা হয় বিকেল ১৬ঃ০৫ মিনিটে। ট্রেন এর পর এসে স্টপেজ না থাকা সত্ত্বেও দাঁড়িয়ে যায় জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে। এমারজেন্সি কারণে ট্রেন দাঁড় করানো হয়। কারণ রাণিনগর স্টেশন পেরনোর সময়ে ইঞ্জিন ও জেনারেল কামরার নীচে আগুনের ফুলকি দেখতে পেয়েছিলেন লাইনে কর্মরত কর্মীরা। চালক ও গার্ডকে অবহিত করা হয়। কন্ট্রোল রুমেও রিপোর্ট করা হয়। সেখানে এক দফায় ট্রেন পরীক্ষা করা হয়। তবে সেভাবে কিছু নজরে পড়েনি বলে ট্রেন ছোটান চালক। দোমহনির যে অংশে দূর্ঘটনা ঘটেছে সেই আপ লাইন দিয়ে তার আগেই দুটি ট্রেন অতিক্রম করেছে৷ তার মধ্যে একটি ছিল কয়লা বোঝাই মালগাড়ি। একটি ছিল খালি মালগাড়ি।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাণ গেল বাড়ির ছেলের, খোয়া গেল মেয়ের বিয়ের গয়না, এক দুর্ঘটনায় সব শেষ
এই দুই পণ্যবাহী রেলের চালক ও গার্ড কোনও লাইনের সমস্যা কথা পরবর্তী স্টেশন বা কন্ট্রোল রুমেও জানাননি৷ ব্লক সেকশনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেলের লাইন পরীক্ষার কাজে নিযুক্ত কর্মীরাও জানিয়েছেন, তারা লাইনে কোনও ত্রুটি দেখেননি। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি খতিয়ে দেখতে চাইছে রাণিনগর স্টেশনের সমস্যা কি ছিল? কেন সেখানে ট্রেন দাঁড়িয়ে গেল? কর্মীরা কী দেখেছিলেন?
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভূয়সী প্রশংসা রেলমন্ত্রীর! কেন?
রেল বিশেষজ্ঞদের অনেকের অনুমান, আইসিএফ কোচের ব্রেক শু, কোনও ভাবে দীর্ঘ সময় ধরে ঘসা খাচ্ছিল। জেনারেল কামরার চাকা 'হট অ্যাক্সেল' এর কারণে লক হয়ে যায়। তাই দু'বার এমারজেন্সি ব্রেক কষেন চালক। ইঞ্জিন দাঁড়িয়ে গেলেও, বগিগুলি চলন্ত থাকায়, প্রচন্ড গতিতে একে ওপরের উপর উঠে যায়। লাইন থেকে দূরে ছিটকে পড়ে। আর তার জেরেই এই দূর্ঘটনা। আজকেও পরীক্ষা করা হবে ট্রেনের ইঞ্জিন। আগামীকাল আসছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।