শিলিগুড়ি থেকে রংটং পর্যন্ত পথ খানিকটা পরিচিত হলেও, এরপর পাহাড় চিরে উঠে যাওয়া আঁকাবাঁকা রাস্তা, চা বাগানের বুক চিরে চলে যায় এক নির্জন পথে। আর ঠিক সেখানেই এক ছোট্ট সেতুর পাশে দাঁড়িয়ে দেবাদিদেব মহাদেব। এই তিন নদীর মিলনস্থল ভক্তদের কাছে এক পবিত্র কেন্দ্র। প্রতি বছরের শ্রাবণ মাসে এই নির্জন পাহাড়ি মন্দির রূপ নেয় এক বৃহৎ তীর্থক্ষেত্রে। সোমবারে মাথায় গঙ্গাজল নিয়ে হাজার হাজার ভক্ত কঠিন পাহাড়ি পথ বেয়ে পৌঁছে যান মন্দিরে। শুধু বাংলা নয়, ভুটান, নেপাল, সিকিম থেকেও আগমন ঘটে অসংখ্য ভক্তের।
advertisement
মন্দিরের পুরোহিত জানান, শ্রাবণ মাসে এখানে শুধু পুজো হয় না, হয় এক বিশেষ শক্তির অভিজ্ঞতা। যারা সত্য বিশ্বাস নিয়ে আসে, তারা ফাঁকা হাতে ফেরে না। এই মন্দিরের একটি ব্যতিক্রমী দিক হল—এখানে তিব্বতি বৌদ্ধ লামারাও আসেন প্রার্থনা ও ধ্যানে বসতে। মন্দির চত্বরে রয়েছে একটি ছোট বৌদ্ধ উপাসনালয়, যেখানে প্রতিদিন ধ্যান করেন অনেকে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আজও শিবখোলা মন্দিরের আশেপাশে মাত্র দুটি দোকান। নেই কোনও শহুরে কোলাহল, নয় কোনও বানিজ্যিক পরিকাঠামো। অথচ পাহাড়ের কোলে নির্জনে দাঁড়িয়ে থাকা এই মন্দির প্রতি বছর হাজারও মানুষকে আকর্ষণ করে আসছে।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য