ডুয়ার্সের প্রকৃতি, তিস্তা নদী ও তার উপর বাঁধ আর শীতে অসংখ্য পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা – এই নিয়েই মনোরম গাজলডোবা যেন ডাকছে তার যাবতীয় ম্যাজিক নিয়ে। উত্তরবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে নয়া সংযোজন হলেও জনপ্রিয়তা ইতিমধ্যেই তুঙ্গে। ঢেলে সৌন্দর্যায়ন হচ্ছে গাজল ডোবার। সারাবছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। একদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত হারবার ব্রিজের অনুকরণে নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ, অন্যদিকে, পরিযায়ী পাখির আনাগোনা। এরাজ্যে এক অসাধারণ পক্ষীনিবাস গাজলডোবা, যা পক্ষীপ্রেমীদের কাছে এক স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। আরেক দিকে রয়েছে তিস্তার স্বচ্ছ নীল জলে নৌকা বিহারের সুযোগ।
advertisement
এত সব আকর্ষণের মধ্যেও পর্যটকদের উপরি পাওনা এখানকার চিংড়ির চপ আর তিস্তার তাজা বোরোলি মাছ। স্বাদে এতটাই দুর্দান্ত যে গাজলডোবায় ঘুরতে এসে গরম গরম মুচমুচে চিংড়ির চপ আর তাজা বোরলি মাছের ঝোল মিস করেন না কেউই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে সুস্বাদু খাবারের এক অসাধারণ মেলবন্ধন রয়েছে এখানে। তাই দূর দূরান্তের মানুষ শুধু এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই নয় চিংড়ির চপ আর তিস্তার বোরলি মাছের স্বাদ নিতেও ছুটে আসেন বারবার। আপনিও যদি হন খাদ্যরসিক তা হলে একবার কিন্তু আসতেই হবে গাজলডোবায়।
সুরজিৎ দে