গত ৪ অক্টোবর রাতভর ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দুধিয়া সংলগ্ন বালাসন সেতুর তিন নম্বর পিলারটি, তার ফলে ব্যাহত হয়েছিল মিরিক-দার্জিলিং এবং শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পূর্ত দফতরের তরফে ৬ অক্টোবর লোহার সেতু নতুনভাবে হিউম পাইপ দিয়ে বিকল্প পথ তৈরি করা হয়। ১৫ দিনের মধ্যেই অস্থায়ী সেতু তৈরি করে ফেলে পূর্ত দফতর। দ্রুতগতিতে এই কাজ সম্পন্ন করা খুব একটা সহজ ছিল না। খারাপ আবহাওয়া, নদীর জলস্রোত সবই উপেক্ষা করে কাজ চলে। দুরন্ত গতিতে কাজ করে জেসিবি ও ক্রেনের সাহায্যে হিউম পাইপ দিয়ে দ্রুতগতিতে রাস্তা তৈরি করা হয়।
advertisement
রাজ্যের পুর্ত দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ হল দুধিয়ায় বিকল্প হিউম পাইপ ব্রিজ নির্মাণ! আজ থেকে শুরু করে দেওয়া হবে স্বাভাবিক যান চলাচল ! ৪৬৮ মিটার দীর্ঘ এই সেতুতে রয়েছে ৭২ মিটার হিউম পাইপ কজওয়ে, যার প্রস্থ ৮ মিটার। ১২০০ মিমি ব্যাসের মোট ১৩২টি হিউম পাইপ ব্যবহার করে মাত্র ১৬ দিনে সম্পূর্ণ হয়েছে কাজ।
১৯৬৫ সালে নির্মিত পুরনো সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ₹৫৪ কোটি টাকায় নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু।বর্তমানে পাহাড়মুখী হতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। শীতের বুকিং বাড়ছে৷ পাশাপাশি মিরিক, সুখিয়াপোখরি, তাবাকোশি, বিজনবাড়ির একাধিক জায়গাতেও পুনরায় বুকিং নেওয়া শুরু হচ্ছে৷ এই অবস্থায় এই রাস্তা খুলে দেওয়ায় খুশি সকলেই। প্রাকৃতিক দূর্যোগে পাহাড়ে যা ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতি মেটানোর রাস্তা হল, পর্যটন অর্থনীতি আরও চাঙ্গা করা। সেই ক্ষেত্রে এই রাস্তা পর্যটন অর্থনীতির পথ সুগম করবে।
