স্থানীয় কমল রায়ের বাড়ি ছিল সেই বাঁধ ভাঙা স্থানের কয়েক মিটার দূরে। এখন সেখানে শুধু বালি আর পলির স্তূপ। ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে। পরিবার আশ্রয় নিয়েছে ত্রিপলের নিচে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে, তাদের ঠাকুরঘরের দুটি মন্দির ,একটি টিনের ছাউনি আর অর্ধেক দেয়ালের নির্মাণ—এখনও দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে।
advertisement
প্রবল স্রোত মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে গেলেও কাঠামোর কিছুই ভাঙেনি। নিচের অংশে ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু মূল গঠন অক্ষত। আশপাশের পাকা বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেলেও এই দুটি ছোট্ট মন্দির এখনও স্থির…যেন ঈশ্বরের অলৌকিক আশীর্বাদ।বন্যা দেখতে আসা মানুষজনের মুখে তাই একটাই কথা ভগবান নিজেই রক্ষা করেছেন নিজের বাড়িকে।”
অনেকেই বলছেন, এই ঘটনাই তাদের মনোবল ফিরিয়ে দিয়েছে, বিশ্বাস জাগিয়েছে যে ধ্বংসের মধ্যেও আশা টিকে থাকে। তবে মানবিক বাস্তবতা ভয়াবহ। শত শত মানুষ গৃহহারা, খাদ্য ও পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন। দুর্গতদের একটাই দাবি- জলঢাকার বাঁধ দ্রুত মেরামত হোক, তারা যেন ফিরে পায় নিজের ভিটেমাটি। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।