আলিপুরদুয়ার জেলা শাসকের তরফে জানানো হয়েছে, ভুটান প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্গতদের সাহায্যের জন্য জেলা পুলিশ চালু করেছে কমিউনিটি কিচেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে সকলকে। ভুটান সীমান্ত এলাকাগুলিতে রাতে জোর দেওয়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। জেলা প্রশাসন বিশেষ নজরদারি রেখেছে তোর্ষা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ওপর।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে সে কী কাণ্ড! হাত বদল হচ্ছিল কোটি কোটি টাকার জিনিস, হানা দিয়ে সব ফাঁস করল পুলিশ
বৃষ্টি কমলেও নদীতে জল থাকায়, সুভাষিনী চা বাগান এলাকার তিন জায়গায় বাঁধ সংস্কারের কাজ করা যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের এখনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের খাওয়া সহ জামাকাপড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুভাষিনী চা বাগানের ৩০০ বিঘা চা গাছ ক্ষতিগ্রস্ত বলে চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কাদা পরিষ্কার করতে করতে আলিপুরদুয়ারের এক বাসিন্দা রাধা প্রধান জানান, “এরকম বৃষ্টি আগে দেখিনি। মনে হচ্ছিল বাড়িঘর সব ভেঙে নিয়ে যাবে। এলাকায় যা জল দেখেছিলাম তাতে মনে হচ্ছিল একটা নদী নয়, আরও দু -তিনটে নদীর জল ঢুকছে। নাহলে এত কাদা হয় নাকি।” এলাকাবাসীদের মতে যা কাদা রয়েছে তা একদিনে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। এত কাদা যে চলাফেরা করা সম্ভব হচ্ছে না। রঞ্জিতা রাই নামের আরও এক বাসিন্দা জানান, “পাকা ঘর না মাটির ঘর তা বোঝা যাচ্ছে না।বৃষ্টি পুরোপুরি না থামলে ঘর পরিষ্কার রেখেও লাভ নেই। তবুও নিজেরা থাকার জন্য যতটুকু ঘর পরিষ্কার রাখা যায়।”