তিনি বলেন, “আমাদের সিভিল অ্যাডমিন দারুণ কাজ করেছে। এত তাড়াতাড়ি কেউ কাজ করতে পারবে না। আমাদের অফিসার, আধিকারিক, শ্রমিক— সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করছে। স্থানীয় মানুষও পাশে থেকে সাহায্য করছেন।”
লন্ডনে পড়াশোনা, ক্যানভাসে আঁকেন ছবি! বিহার নির্বাচনে তোলপাড় তুলেছেন… কে এই ‘নতুন চাণক্য’?
ডাক্তারি ছেড়ে IAS অফিসার! এখন ৫১ কোটি টাকার ঘুষকাণ্ডে নাম জড়াল যে কারণে… স্ত্রীও আমলা!
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, নাগরকাটার দুর্গম এলাকায় তিনিও নিজে গিয়েছিলেন এবং সেখানেও ত্রাণ বিলি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য স্বাস্থ্যক্যাম্প ও নথি পুনরুদ্ধারের ক্যাম্প চালু করা হয়েছে। যাঁদের কাগজপত্র বা পরিচয়পত্র হারিয়েছে, তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খাবারের জন্য প্রতিটি এলাকায় কমিউনিটি কিচেন চালু করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা এই বিপর্যয়ে সব হারিয়েছেন, তাঁদের পাশে সরকার আছে। কেউ চিন্তা করবেন না। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাত দিনের মধ্যে চাকরির নিয়োগ ও ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। এটা বিশেষ নিয়োগ।” তিনি জানান, জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে দ্রুত ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যায়।
মুখ্যমন্ত্রী আজ মিরিকে গিয়ে মৃতদের পরিবারগুলির সঙ্গেও দেখা করেন। মিরিকের দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বিজেন্দ্র রাই (৬৫), উষা রাই (৬০) এবং সাতমা লামা (৩৫)। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বাড়িতে গিয়ে শোকপ্রকাশ করেন ও পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
তিনি আরও জানান, পশুপতি ফাটকের কাছে লামাহাটার মতো একটি নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা হবে। সেখানে শ্যুটিংয়ের সুযোগ ও হোম-স্টের ব্যবস্থা থাকবে। এক বছরের মধ্যেই সেই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। মমতা বলেন, “পশুপতি ফাটকের ওই এলাকা আলাদা করে সাজানো হবে। পর্যটন বৃদ্ধি পাবে, স্থানীয় মানুষেরও কর্মসংস্থান হবে।”
এছাড়া তিনি জানান, মিরিকের লেকের অবস্থা খুব খারাপ, সেটির সংস্কারের দায়িত্ব পূর্ত দফতরকে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী একটি উচ্চপর্যায়ের মিটিং করবেন। সেখানে বাড়ি ও রাস্তা পুনর্গঠনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই বিপর্যয়ের সময় রাজনীতি নয়, এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আসল কাজ। সরকার তাদের সঙ্গে আছে— প্রশাসন দিনরাত কাজ করছে।”