গত কয়েক সপ্তাহের পাহাড়ি বৃষ্টি আর ধস যেন তাদের জীবিকার মাটি পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে। কারণ পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলেও হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। সময়মতো ভাল মাটি পাওয়া যায়নি, তাই প্রতিমা ও প্রদীপ বানানোও বিলম্বিত হয়েছে। এখন আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে আসতেই তড়িঘড়ি চলছে কাজ। শিলিগুড়ির চয়নপাড়া, পালপাড়া—সব জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে একই দৃশ্য, পরিবারের সকলেই মাঠে নেমে ঘাম ঝরাচ্ছেন কাজ শেষ করতে। তবু মনে প্রশ্ন—এত কষ্ট করে তৈরি জিনিস বিক্রি হবে তো? কারণ পাহাড়ের বাজারই তাদের প্রধান ভরসা। পাহাড়ে বায়না না এলে ক্ষতির মুখ দেখতেই হয়। সমতলে বিক্রি করলে লাভের মুখ তেমন দেখা যায় না।
advertisement
আরও পড়ুন: হলুদ, চাল, জিরে, লঙ্কা…ভেজালের রমরমা! কেনার আগে হন সতর্ক, মুর্শিদাবাদে ঘটে গেল তাজ্জব করা ঘটনা
শিলিগুড়ির মৃৎশিল্পী দোলা পাল জানালেন, “এ বছর কাঁচামালের দাম অনেক বেড়েছে, তাই অল্প জিনিসই বানিয়েছি। বেশিরভাগই মাটির প্রদীপ। কিন্তু এখনও তেমন বায়না আসেনি। কিছু প্রদীপ রং করা হয়েছে, কিছু শুকোচ্ছে। যদি আবহাওয়া আবার খারাপ হয়, তাহলে অনেক ক্ষতি হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে দয়াল পাল, যিনি প্রতিমা ও প্রদীপ দুটোই বানান, তাঁর কণ্ঠেও উদ্বেগ— “পাহাড়ের অবস্থা ভাল নয়, তাই সেখান থেকে অর্ডার আসবে কিনা জানি না। যদি না আসে, তাহলে এবারের সব পরিশ্রমই বৃথা যাবে।” শিলিগুড়ির চয়নপাড়ার গলিগুলোয় এখন মাটির গন্ধের সঙ্গে মিশে আছে অজানা দুশ্চিন্তা। তবুও থেমে নেই কাজের গতি—কারণ উৎসবের আগে আশার প্রদীপ নিভতে দেয় না এই মাটির মানুষগুলো।