গত শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার ফলে বন্যা দেখা গিয়েছিল ডুয়ার্স জুড়ে। নদীর জল বইছিল বিপদসীমার ওপর দিয়ে। যদিও বৃষ্টি থামতেই কমেছে নদীর জল। কিন্তু চাষের জমির পরিস্থিতি বেহাল। হাঁটু সমান কাদা সেখানে জমে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সবচাইতে বেশি হয়েছে বেগুন ক্ষেত। আলিপুরদুয়ার এক ব্লকে হয়েছিল বেগুন চাষ। প্রায় ৮০০ বিঘা জমিতে ৭ লক্ষ টাকার বেগুনের চারা রোপণ করেছিলেন এলাকার কৃষকরা। এই বেগুনের চাষ তারা করেন তোর্ষা নদীর চরের সামনের জমিতে। বেগুন ফলছিল, কিন্তু অতি বর্ষণে নদীর জল প্রবেশ করে শেষ করে দিয়েছে বেগুনের চাষ। আলিপুরদুয়ার জেলার আলিপুরদুয়ার এক এবং ফালাকাটায় হয় বেশি চাষাবাস। বেগুনের চাষ হয় আলিপুরদুয়ার এক ব্লকে।
advertisement
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে দুর্গাপুজোয় আলাদা মাত্রা এনে দিলেন ‘ওঁরা’! ‘আগে কখনও দেখেনি’ বলছেন সবাই
বর্ষণে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে গোটা উত্তরবঙ্গ। ফুলেফেঁপে উঠেছে উত্তরের নদীগুলি। বন্যার জলে কেউ মাছ ধরতে, জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করতে ব্যস্ত। কিন্তু মাথায় হাত কৃষকদের। এখন বেগুন ক্ষেতে গেলে শোনা যাচ্ছে শুধুই কৃষকদের হাহাকার। আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়ার শিসামারা নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে একাধিক গ্রাম। জলদাপাড়ার জঙ্গল প্লাবিত হয়ে যাওয়ায় বন্যার জলে ভেসে এসেছে বন্য প্রাণীরাও। গৃহস্থের গবাদি পশুর পাশাপাশি গণ্ডার, বাইসন, হরিণ সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী জলের প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়েছে। চাষের জমিতে ঢুকেছে জল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বন্যার জলে চাষের জমি প্লাবিত হতে দেখে উদ্বিগ্ন ছিলেন চাষিরা। সকালেই জলস্তর কিছুটা নামতেই চাষের জমিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন চাষিরা। বিঘার পর বিঘা জমি যা এর আগের সবুজে ঘেরা ছিল তা আজ শুধু বালুচর। পলি স্তরের নিচে পড়ে রয়েছে বেগুন, লঙ্কা, কপি সহ নানা শাক সবজি। যা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন কৃষকরা। আলিপুরদুয়ার এক নং ব্লকের পূর্ব কাঁঠালবাড়ি গ্রামে প্রায় ৮০০ বিঘা বেগুন পলি স্তরের নিচে চাপা পড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। কৃষকরা বলছেন, সরকার ক্ষতিপূরণ না দিলে সমস্যা বাড়বে।