কেরলের স্কুলগুলির ধাঁচে এবারে পড়াশোনা হবে মালদহের এই স্কুলে। আজও অনেকে মনে করেন স্কুলের ক্লাসরুমে পেছনের বেঞ্চে বসলে পড়াশোনা হয় না ছাত্র-ছাত্রীদের। শুরু থেকেই আজও এই পদ্ধতি রয়েছে বাংলার প্রতিটি স্কুলে। তবে অনেক আগেই কেরালা রাজ্যে নো ওয়ান ব্যাকবেঞ্চার পদ্ধতি চালু হয় সেখানে। এই পদ্ধতির ফলে ক্লাসের চারিদিকে বেঞ্চ বসিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সামনে থেকে দেখে পড়াশোনার সুযোগ হবে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের।
advertisement
আরও পড়ুন: ৮০০ হয়ে গেল ২০০…! অবাক করা কান্ড শহরের এই স্কুলে, আসল কারণ জানলে হাজার বার ভাবাবে আপনাকেও
অনেক ক্ষেত্রে দেখা দেয় ব্যাকবেঞ্চ বা পেছনের দিকে বসে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আওয়াজ পৌঁছায় না। যার ফলে ভালভাবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমস্যা হয় ছাত্রছাত্রীদের। আবার অনেক সময় এমনটা হয় যেসকল ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনায় মেধা তাদেরই প্রথম দিকে বা ফার্স্ট বেঞ্চে বসার সুযোগ করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাই এমন ধারণাকে বদলে দিতে এবারে কেরলের আদলে এ রাজ্যে মালদহের বার্ল গার্লস হাইস্কুলে এই প্রথম চালু হল ‘নো ওয়ান ব্যাকবেঞ্চার’ সিস্টেম।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ডঃ দীপাশ্রী মজুমদার জানান, “জেলা শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মত এই প্রথম আমাদের স্কুলে নো ব্যাকবেঞ্চার সিস্টেমটি একটি ক্লাসরুমে চালু করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্র-ছাত্রীদের সামনাসামনি দেখে পড়াশোনা করাতে পারবেন। শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দূরত্ব কমবে এবং পড়াশোনা ভাল হবে। একসময় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ধারণা ছিল যে ভাল পড়াশোনা করলেই সামনে বসতে পাওয়া যায়। তাই পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেক সময় পিছিয়ে পড়তেন ছাত্র-ছাত্রীরা। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার কথা মাথায় রেখে এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জেলা শিক্ষা দফতরের তরফে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।”
তিনি আরও জানান, “আমরা দেখে থাকি অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীদের ধারণা থাকে যে ক্লাসে সামনের বেঞ্চে বসলে পড়া দিতে হবে। অথবা পিছনে বসলে পড়াশোনা না করলেও চলবে। তবে এবারের সেই ধারণা বদলাতে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ভাল করার লক্ষ্যে এমন পদ্ধতি নজর কেড়েছে সকলের।”
জিএম মোমিন