মর্মান্তিক এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। ফের একবার প্রশ্নের মুখে চিকিৎসা পরিকাঠামো। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন প্রসূতির পরিবার।
সূত্রের খবর, তপন ব্লকের কাশমুলাই গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক মানব বর্মণের স্ত্রী রত্না বর্মণ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বালুরঘাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। অভিযোগ, চিকিৎসক রোগীর আত্মীয়দের জানান, এটা প্রসূতির ফলস পেইন। সন্তান প্রসব হতে এখনও দেরি আছে। এরপরেই প্রসূতি রত্না দেবীকে ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক এবং দশ দিন পর আসার পরামর্শ দেন। তবে এর মাঝেই ঘটে যায় বড়সড় বিপত্তি।
advertisement
পরদিন সকালে বাড়িতেই প্রসব করেন ওই মহিলা। প্রথমে নবজাতককে স্বাভাবিক বলে মনে হলেও, পরে শিশুটির শারীরিক অবনতি হতে দেখা যায়। এরপর তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন মা ও সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে দ্রুত বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পৌঁছলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বর্তমানে মৃত শিশুটির মা রত্না বর্মণ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
এবিষয়ে মৃত শিশুর বাবা মানব বর্মণ জানান, “হাসপাতাল যদি ফিরিয়ে না দিত তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। তাঁর সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যুর জন্য দায়ী চিকিৎসক। তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।” এ বিষয়ে জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য অধিকারিক সুদীপ্ত দাস জানান, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ফের একবার প্রশ্নের মুখে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো।
সুস্মিতা গোস্বামী