পাহাড়ি পথে গাড়ি চলার সময় পর্যটকদের কণ্ঠে বারবার শোনা যাচ্ছে সতর্কবার্তা– ”আস্তে চালান, সামনে পাহাড়।” খুনিয়া মোড় পেরিয়ে চাপড়ামারি জঙ্গলের আঁকাবাঁকা পথ ধরে এগোলে ধীরে ধীরে চোখের সামনে খুলে যায় এক অন্য জগৎ। কালিম্পং জেলার এই পাহাড়ঘেরা অঞ্চলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য যেন মুহূর্তে সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে অনেকেই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে চড়ুইভাতির আনন্দে মেতে উঠেছেন নকশাল পর্যটন কেন্দ্রে।
advertisement
ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জলঢাকা নদীর কলকল ধ্বনি, পাহাড় ছুঁয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ জলের স্রোত আর চারপাশের গভীর নীরবতা– সব মিলিয়ে এক অনাবিল প্রশান্তির আবহ। পর্যটকদের অনেকেই বলছেন, শহরের ব্যস্ত জীবন আর সারাবছরের চাপ থেকে মুক্তি পেতেই তাঁদের এই ছুটে আসা। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় এলাকার অন্যতম আকর্ষণ ভুটান লাগোয়া ছোট্ট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ‘বিন্দু’-তে। বছরের শেষ দিনে সেখানে বসেছে পর্যটকদের জমজমাট মেলা।
আরও পড়ুন: চাকরির বাজারে সুখবর! মাধ্যমিক পাশেই সমবায় সমিতিতে কাজের সুযোগ, বিশদে জেনে আবেদন করুন
ছোট্ট বাজারে স্থানীয় সামগ্রী কেনাকাটার পাশাপাশি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যারেজের নিচে সারি সারি পাথরের উপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত পর্যটকেরা। নদীর জলে পা ভিজিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাচ্ছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে পাহাড়, নদী আর সবুজের মেলবন্ধনে ডুয়ার্স যেন বর্ষশেষে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। প্রকৃতির কোলে দাঁড়িয়ে নতুন বছরের অপেক্ষায় এখানকার প্রতিটি মুহূর্তই হয়ে উঠছে স্মরণীয়।





