পরিবারের দাবি, ২০ অক্টোবর বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা বলে বেরিয়েছিলেন সাবি। সেই থেকেই তাঁর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর কুমেদপুর থানার মাধ্যমে মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পরিবারের কাছে পৌঁছয়। এরপর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা দেহ শনাক্ত করেন। সমস্ত সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।
advertisement
এবারে সামনে এল বড় মোড়। হোটেলে সাবির সঙ্গে থাকা রহস্যময় ব্যক্তিকে অবশেষে শনাক্ত করে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে চেতনারায়ণ দাস ওরফে প্রেম (২৯), বাবার নাম পঞ্চানন্দ দাস, বাড়ি বিহারের পুয়াল এলাকায়। এনজেপি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তাকে আটক করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য মহিলার শিশুর এখনও কোনও খোঁজ নেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চেতনারায়ণকে জেরা করে শিশুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। কোথায় আছে সেই শিশু, আদৌ জীবিত কি না— এই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।
প্রসঙ্গত, দু’জন ২২ অক্টোবর হোটেলে ওঠেন। ২৪ অক্টোবর হোটেল কক্ষ থেকেই উদ্ধার হয় সাবির নিথর দেহ। এনজেপি থেকে কুমেদপুর, দুই জায়গাতেই চাঞ্চল্য তুঙ্গে। স্থানীয়দের প্রশ্ন: “ভুয়ো নামে হোটেলে উঠল কেন? কীভাবে ঘটল এই মৃত্যু? আর সেই শিশুটি কোথায়?” তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই জট খুলছে একের পর এক রহস্যের।






