জলপাইগুড়ি জেলার গরুমারা, চাপড়াবাড়ি-সহ জঙ্গলঘেরা বহু গ্রামে ফের বেড়েছে বন্য হাতির ত্রাস। পানঝাড়া বস্তি ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ইলেকট্রিক ফেন্স থাকলেও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হাতির বুদ্ধিমত্তার কাছে সেই ব্যবস্থাও টিকছে না। গাছ ফেলে ফেন্সিং তার ভেঙে রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে পড়ছে হাতির দল। ধানক্ষেত, সবজি জমি কিংবা বাড়িঘর কোনওটাই তাদের আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
advertisement
চাষাবাদই যাঁদের প্রধান নির্ভরতা, সেই কৃষকদের এখন রাত কাটে আতঙ্কে। বারবার আক্রমণের ফলে বহু পরিবার কৃষিকাজ ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকেছেন। গ্রামবাসীদের কথায়, “আগে যেখানে বছরে হাতে গোনা কয়েকবার হাতির দেখা মিলত, এখন প্রায় প্রতিরাতেই দলে দলে আসে। আমরা আর জানি না কোন রাতে কী ক্ষতি হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই উদ্বেগের মধ্যে নতুন আশা জাগিয়েছে বন দফতর। হাতির তাণ্ডব কমাতে এবার গঠন করা হচ্ছে বিশেষ ‘কুইক রেসপন্স টিম’! গ্রামের যুবকদের নিয়ে তৈরি এই দল হাতি তাড়ানোর কাজে প্রশিক্ষিতভাবে মাঠে নামবে। গরুমারা ডিভিশনের বনকর্তা দ্বিজপ্রতিম সেন নিজেই এই টিমকে ট্রেনিং দেবেন। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, সুরক্ষা উপকরণ থেকে শুরু করে মাসিক বেতন সবটাই দফতর দেবে।
গ্রামবাসীরা বলছেন, এই উদ্যোগ তাঁদের মধ্যে নতুন ভরসা তৈরি করেছে। “রাত নামলেই কোনও না কোনও দলে হাতি আসে। প্রশিক্ষিত টিম থাকলে অন্তত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে,” জানালেন চাপড়াবাড়ির এক বাসিন্দা। হাতির বেড়ে চলা বুদ্ধিমত্তা এবং মানুষের বসতি বিস্তারের টানাপোড়েনে বন–গ্রামের সম্পর্ক দিনদিন জটিল হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ‘কুইক রেসপন্স টিম’-এর কার্যকর ভূমিকা আগামী দিনেই বোঝা যাবে বলে মনে করছেন বনকর্তারা!





