সান্দাকফু ট্রেকিং রুটটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ক্রসবর্ডার ট্যুরিজমের অন্যতম আকর্ষণ। থাকার জায়গা, খাওয়া-দাওয়ার অনেকটাই নির্ভর করে নেপালের অংশের উপর। ফলে, প্রতিবেশী দেশে অশান্তি দেখা দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, পর্যটকরা আদৌ যাবেন কিনা? বুকিং করা হলেও অনেকেই চিন্তায় পড়েছেন কীভাবে যাবেন, আর গেলে কীভাবে ফিরবেন। পর্যটন ক্ষেত্র নিয়ে আশাবাদী অবশ্য অপারেটররা।
advertisement
ইস্টার্ন হিমালায়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের জেনারাল সেক্রেটারি দেবাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত জিটিএ কিংবা ক্রসবর্ডার ট্যুরিজম নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। তাঁর আশা, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। বুকিং বাতিল করতে চাইলে বিকল্প প্ল্যান দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে।
আরও পড়ুনঃ কালিম্পং পাহাড়ে স্বপ্নের মতো সুন্দর গ্রাম! ৩৬০ ডিগ্রি কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ, পুজোয় ঘুরে আসুন চুইখিম
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যান্যালের মতে, সান্দাকফু ট্রেকিং রুটের ভারতীয় অংশ এখনও নিরাপদ। এখানে এসএসবি’র প্রচুর জওয়ান মোতায়েন থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা কম। ফলে পর্যটকরা চাইলে ভারতীয় সীমান্তের হোমস্টে বা জিটিএ পরিচালিত লজে থেকেই ট্রেকিং উপভোগ করতে পারবেন। সব মিলিয়ে নেপালের অশান্ত পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন পুজোর আগে পর্যটকদের মনে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে ট্রাভেল অপারেটর ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা আশাবাদী পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। তবে শেষ পর্যন্ত পর্যটকদের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে, এই মরশুমে পাহাড়ি ট্রেকিং রুটগুলি কতটা জমজমাট হবে, নাকি বুকিং বাতিলের ভিড়ে মুখ থুবড়ে পড়বে ব্যবসা।