প্রসঙ্গত, রাজ্য এবং কেন্দ্রের সচিব ছাড়াও ওই চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারন সম্পাদক রোশন গিরি। বার বার বলেও জিটিএর আইন সংশোধন থেকে নতুন মৌজার অন্তর্ভুক্তি হয়নি। প্রতিবাদে জিটিএ ভোটেও অংশ নেয়নি মোর্চা। ভোট পিছনোর দাবিতে আমরণ অনশনও করেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং।
advertisement
এদিন দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি শিলিগুড়িতে বলেন, "আমাদের দাবি পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যাণ্ড। বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে বিজেপি ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সংকল্পপত্রেও উল্লেখ করেছিল। রাজ্যের কাছেও বিকল্পের সন্ধান চেয়ে ড্রাফট পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সাড়া মেলেনি। তাই আজ একযোগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে চিঠি পাঠানো হল। এবারে কেন্দ্র এবং রাজ্য কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে। তবে আলাদা রাজ্যের দাবিতে এবারে আর পাহাড় এবং সমতলের তরাই, ডুয়ার্সে নয়, আন্দোলন হবে দিল্লিমুখী।"
মোর্চার সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জিটিএর চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা। তিনি পালটা বলেন, "ওরা জিটিএর আইন জানে না। ওরা পাহাড়ের হেরো নেতা। জিটিএতে নির্বাচিত প্রতিনিধি আমরাই এবং আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ওদের এই সিদ্ধান্তে জিটিএ পরিচালনায় কোনও সমস্যা হবে না। টেলিফোনে প্রতিক্রিয়া জানালেন অনীত।" অন্যদিকে গৌতম দেব বলেন, "ওরা অপ্রাসঙ্গিক। এটা বড় গেমপ্লেন। যার পেছনে কেন্দ্রের সরকার আছে। একে গুরুত্ব দিচ্ছি না।"
সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের মতে, "আমরা পৃথক গোর্খাল্যাণ্ড বা পৃথক উত্তরবঙ্গ চাই না। আলাদা রাজ্যের বিরোধী। আর এভাবে চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার করে নিলে কিছু হবে বলে মনে হয় না। ভোট এলেই এই ধরনের দাবি জোরাল হয়।"