পুজোর পিচে পদ্মের 'মুখ' মিঠুন চক্রবর্তী। দুই বঙ্গে একাধিক কর্মসূচি। শনিবার কলকাতায় প্রাক পুজো সম্মিলনী এবং সাংগঠনিক বৈঠক। রবিবার, মহালয়ার সকালে মালদা পৌঁছন। মিঠুনের মুখে তখন শারদ-শুভেচ্ছা। সঙ্গী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মিঠুন বললেন, 'আজ মহালয়া। স্বপক্ষ-বিপক্ষ সবার জন্য প্রার্থনা করছি। সকলে ভাল থাকবেন। সবাই পুজো ভাল করে কাটান'।
advertisement
এদিন মালদার হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সড়কপথে বালুরঘাট পৌঁছন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুনকে দেখার জন্য রাস্তার দুপাশে গিজগিজ করছিল ভিড়। দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। দলের কর্মসূচিতে পৌঁছনো মাত্রই বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার স্বাগত জানালেন দলের নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে। সেখানে বিজেপির প্রাক পুজো সম্মেলন। ধাপে ধাপ নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক। এরপরেই সাংবাদিক বৈঠকে শাসক দল ও সরকারের বিরুদ্ধে মিঠুনের গলায় ছিল চড়া সুর।
তিনি বলেন, 'যারা বড় বড় কথা বলছেন, লোককে ইনসাল্ট করছেন, তাঁদের সমাধিতে প্রদীপ জ্বালানোর লোক নেই। এটা আমি দেখেছি। দ্যট টাইম ইস কামিং ভেরি সুন'। তৃণমূলকে নিশানা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তাঁকে বিঁধে মিঠুনের ‘পুষ্পবৃষ্টি’ আক্রমণ। বললেন, 'আমাকে বলেছিলেন আমি ডায়লগ দিয়েছি বলে হিংসা হয়েছে। এখন সব পুষ্পবৃষ্টি হচ্ছে। 'জিভ কেটে দেব' পুষ্পবৃষ্টি। 'এখানে গুলি মারব', এটা পুষ্প বৃষ্টি? প্রশ্ন তোলেন মিঠুন। 'মিঠুন যেখানেই যাবেন সেখানেই তৃণমূলের ভোট বাড়বে'। তৃণমূলের এই কটাক্ষের কিছুটা রসিকতার সুরে জবাবও দেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর মন্তব্য, দলকে বলব, তাহলে আমাকে সেইসব জায়গায় না পাঠাতে'।
শনিবার হেস্টিংস কার্যালয়ে মিঠুন দাবি করেন, অন্তত কুড়িজনের বেশি তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। রবিবার বালুরঘাটের সাংবাদিক বৈঠকেও নিজের বক্তব্য অনড় মিঠুন। তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য , 'আশেপাশের দিকে তাকান, তাহলেই বুঝতে পারবেন। আমি বললে ব্যাক আপ নিয়েই কথা বলি। আই স্ট্যান্ড মাই ওয়ার্ড'।