আজ তিনদিন পেরিয়ে গেলেও চারদিকে ঝড়ের চিহ্ন এখনও স্পষ্ট। তছনছ হয়ে রয়েছে ঘরবাড়ি। এলোমেলো হয়ে পড়ে রয়েছে আসবাবপত্র। মাথার ছাদ হারিয়ে আজ নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। ত্রিপল বিছিয়ে কোনওরকমে দিন যাপন করছেন তাঁরা।
advertisement
তবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন। চোখে জল আর ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি নিয়ে লড়াই চালিয়ে নতুন ভাবে শুরু করছেন তাঁরা। ঝড়ের তীব্রতায় বাড়ির ছাদের যে টিন উড়ে গিয়েছিল, সেই জায়গায় প্লাস্টিক লাগিয়ে তার নীচেই দিন কাটাচ্ছেন কেউ কেউ। কেউ আবার পলিথিন সিটের নীচে বসে ঝড়ে ভেঙে যাওয়া খাটে পেরেক গুঁজে হাল ফেরানোর চেষ্টা করছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া আসবাবপত্র বাসনপত্র সবকিছু ফের গুছিয়ে এক জায়গায় করে চলছে নতুন ভাবে মাথা তুলে বেঁচে ওঠার লড়াই।
হাতে হাত লাগিয়ে সুন্দর গ্রামকে ফের ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। রবিবার রাতেই ঝড়েই পরিস্থিতি পরিদর্শনে সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে দেখা করেন আহতদের সঙ্গেও। নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করে দুর্গতদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
সুরজিৎ দে