যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ডাক্তারির প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন মহম্মদ আরিফ। মালদহের রতুয়ার সামসি অঞ্চলের ভগবানপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। সোমবার রাতে ফিরেছেন মালদহে নিজের গ্রামে। দেশে ফিরলেও তাঁর চোখে-মুখে এখনও যেন রয়ে গিয়েছে যুদ্ধের আতঙ্ক। সংকটের মুহূর্তে হাত থেকে দেশের জাতীয় পতাকা একটি বারের জন্যেও সরে যেতে দেননি ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির এই পড়ুয়া, মহম্মদ আরিফ। তাঁর মতো আরও ষোলোশো ভারতীয় পড়ুয়া ওই ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারি পড়ছিলেন। হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের সহযোগিতায় দেশে ফিরতে পারলেও এখন নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ইউক্রেন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়া ও তাঁদের পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন : অবশেষে পোষ্যকে নিয়েই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে নিজের বাড়িতে ফিরলেন শাহরুখ
ইউক্রেন থেকে আদৌ নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা এক সময় তা নিয়েই মনের মধ্যে তৈরি হয়েছিল জোর সংশয়। শেষমেষ ভারতের জাতীয় পতাকাকে আঁকড়ে থেকে প্রাণ হাতে নিয়ে তিরিশ ঘণ্টা ট্রেন যাত্রা করে ইউক্রেন ও হাঙ্গেরির সীমান্তে জুহানি স্টেশনে পৌঁছন আরিফ।
আরও পড়ুন : বাইরে অবিরাম বোমাবর্ষণ, জাগুয়ার এবং লেপার্ড-সন্তানকে নিয়ে বেসমেন্টের অন্ধকারে দিন কাটছে ভারতীয় চিকিৎসকের
মালদহে ফেরার পর প্রশাসনের তরফেও সোমবার রাতে আরিফের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রতুয়া থানার আইসি সুবীর কর্মকার ও ডিএসপি সব্যসাচী ঘোষ। তাঁরা আরিফের হাতে ফুলের স্তবক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে তাঁর অভিজ্ঞতার বর্ণনাও শোনেন। শুভেচ্ছা জানাতে বাড়িতে পৌঁছন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন। আরিফের সঙ্গে দেখা করে তাঁর পড়াশোনা যাতে মাঝপথে বন্ধ না হয়ে যায় সেজন্য জেলাশাসকের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করবেন বলেও আশ্বাস দেন মালদহের সভাধিপতি। আরিফ ও জানান, তাঁদের ডাক্তারির অসম্পূর্ণ অংশ দেশেই পড়াশোনার ব্যবস্থা করুক সরকার, এখন এটাই তাঁদের প্রার্থনা।