কোচবিহার জেলার গাঁদা ফুল চাষি রমণী বর্মন জানান, “এই ফুল চাষ করতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। এছাড়াও খাটনি ও খরচ দুটোই হয় অন্যান্য চাষের থেকে অনেকটা কম। তবে এই ফুলের রোগব্যাধি দেখতে পাওয়া যায়। তাই কৃষকদের এই রোগব্যাধির সম্পর্কেও সজাগ থাকা উচিত। এই গাঁদা ফুল গাছের ধ্বসা রোগ দেখতে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ফুলের গোঁড়াগুলি পচে যায়। এছাড়া ল্যাদা পোকার আক্রমণ দেখতে পাওয়া যায়। তাই এই ফুল গাছ সুস্থ রাখতে উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কীটনাশক এবং সার ব্যবহার করতে হবে। তা হলেই এই গাছের সুস্থ থাকবে এবং ভাল পরিমাণে ফুল দেবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: গরমে তো আছেই, শীতে ডাবের জল খেলে কী হয় জানেন? জানলে এবার থেকে প্রতিদিন খেতে চাইবেন
তিনি আরও জানান, “গাঁদা কোচবিহারের বিভিন্ন দোকানগুলিতে পাইকারিও সরবরাহ করেন তিনি। পাইকারি কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দামে বিক্রি করেন এই ফুল। আবার এই ফুল খুচরও বিক্রি করে থাকেন তিনি। তখন মালা বানিয়ে এক একটি মালা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দামে বিক্রি হয়। অন্যান্য চাষে ব্যবহার করা সার এই চাষেও ব্যবহার করা যায়। বিশেষত বেগুন চাষের ব্যবহার করা কীটনাশক ব্যবহার করা হয় এই চাষে। কৃষকরা এই রোগগুলোর উপর বিশেষভাবে নজর রাখতে পারলে অধিক মুনাফা পাবেন। গোবর সার বেশি প্রয়োগ করলে ফুলের মাত্র বৃদ্ধি পাবে কয়েকগুণ।”
আরও পড়ুন: লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা, এই একটি ফসলেই গোছা গোছা টাকা ঢুকছে কোচবিহারের চাষিদের পকেটে
এই ফুল ঘর সাজানোর কাজ থেকে শুরু করে পুজোর কাজে লাগে নিত্যদিন। বর্তমান সময়ে এই ফুল চাষ করে আর্থিক লাভের মুখ দেখছেন কোচবিহারের বেশকিছু জেলার এক চাষি। এটি চাষ করতে ব্যয় হয় অনেকটাই স্বল্প। তবে এই চাষ থেকে লাভ পাওয়া যায় কয়েকগুণ বেশি। তাই কৃষকদের জন্য এই ফুল চাষ করা অনেকটাই লাভদায়ক বলে প্রমাণিত।
Sarthak Pandit





