এ ছাড়া এখানে রোগী দেখার মূল্য একদম সামান্য এখনও পর্যন্ত। মাত্র দুই টাকা মূল্যে এখানে রোগী দেখেন কবিরাজ। এবং ঔষুধ ও প্রদান করে থাকেন তিনি এই মূল্যের মধ্যেই। একটা সময় এই সম্পূর্ন বিষয়টির রাজাদের দ্বারা পরিচালিত হলেও। বর্তমানে এর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড।
advertisement
কবিরাজ খানার কবিরাজ তুহিন সেন শর্মা জানান, “মাত্র ২ টাকা মূল্যে এখানে রোগী দেখা হয়ে থাকে। এর ফলে দুস্থ গরীব মানুষদের অনেকটাই উপকার হয়। অনেক মানুষ ও এখনকার ওষুধ খাওয়ার পরে উপকার পেয়েছেন। তাই তারা কোন সমস্যায় পড়লেই এখানে ডাক্তার দেখাতে এসে থাকেন। বহু মানুষের অনেক জটিল রোগ সেরে গিয়েছে এখানে চিকিৎসা করানোর পর। তাঁরা সম্পুর্ণ সুস্থ অবস্থায় রয়েছেন বর্তমান সময়ে।
তাই আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি মানুষ আসেন এখন। তবে সাধারণ মানুষের আয়ুর্বেদ-এর উপর ভরসা রাখা উচিত। কারণ, এর কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় না। তবে আগে গ্রাম্য এলাকায় মানুষেরাই বেশি আসতেন এখানে। তবে বর্তমান সময়ে শহরের মানুষেরাও বহুল ভাবে ভিড় জমাচ্ছেন এই কবিরাজ খানায়।”
এখানে চিকিৎসা করাতে আসা দুই মহিলা রোগী বীণা পাল ও সীমা দাস জানান, “এখানে চিকিৎসা করিয়ে তাঁরা দুজনেই দারুন উপকার পেয়েছেন। এখান থেকে দেওয়া ওষুধ বেশ ভাল কাজ করেছে তাঁদের দুজনের জন্য। আগে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাঁরা দুজনেই বাইরে চিকিৎসা করিয়েছেন। তবে সেখানে চিকিৎসা করিয়ে তাঁরা সুস্থ হতে না পেরে এখানে এসেছিলেন শেষ ভরসায়। তবে এখানে এসে চিকিৎসা করিয়ে তাঁরা সম্পূর্ন সুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।” কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, “এখানে রোগীদের একদম ন্যূনতম মূল্যে দেখা হয়ে থাকে এবং ওষুধও দেওয়া হয়। মাত্র ২ টাকা মূল্য রয়েছে এখানে রোগী দেখা ও ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা করা রয়েছে।”
Sarthak Pandit