নদীর পাড়ে বসবাসরত প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুল হামিদ জানান, বর্ষায় নদীর জল বাড়লে আতঙ্ক দেখা দেয় এইসব এলাকায়। বাঁশের সাঁকো ভেঙে গেলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুবিধা তৈরি হয়। তখন বিকল্প আয়ের খোঁজে নদীতে এই মাছ ধরার কাজ করেন তিনি সহ এলাকার আরও অনেকে। এছাড়া বাড়িতেও এই মাছ দিয়েই খাওয়ার পর্ব সুন্দরভাবে হয়ে যায়। নদীয়ালি মাছের চাহিদা বাজারে থাকে সবসময়। ফলে বাজারে এই মাছ উঠতেই বিক্রি হয়ে যায়। তাই এই মাছ ধরে বিক্রি করলে কিছু উপার্জন করা সম্ভব সহজেই।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রজাপতি পার্কে দেখা নেই প্রজাপতির! বেহাল অবস্থা রামসাইয়ের
নদীর পাড়ের আরেক বাসিন্দা মঙ্গল দাস জানান, নদীর জল বাড়ার ফলে আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। তাই আতঙ্ক ভুলতে নদীর মাছ ধরতে ব্যস্ত করে রেখেছেন নিজেকে। এতে খাবার পাতে নদীর সুস্বাদু মাছ পাওয়া যায়। এছাড়া কাজ না থাকায় এই মাছ ধরে কিছুটা হলেও আয় করা সম্ভব হয়।
নদীর পাড়ের বাসিন্দা বিমল রায় জানান, তোর্ষা নদীর জল বাড়লে তখন মাছের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই সময় পুঁটি, বোরোলি, ট্যাংরা, মাগুর, কই, খোলসা, চিংড়ি আরও বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায়। এই সমস্ত মাছের স্বাদ অনেক বেশি। ফলে এই মাছগুলি ধরে নিজেরা যেমন খান তেমনই বাজারে বিক্রি করে দুটো পয়সা রোজগার করেন।
সার্থক পণ্ডিত