জানা গিয়েছে, মৃত ওই বৃদ্ধের নাম বাবলু বৈশ্য (৬৫)৷ আর একজন মৃতের নাম গোপাল রায়৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে মাছ বিক্রেতা এসে ওই বাড়ির বাইরে রক্ত দেখে প্রতিবেশীদের জানান৷ এর পরেই কোতয়ালি থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা৷
advertisement
ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দরজা খুলে ঘরের মধ্যে ঢুকে কাউকে দেখতে পায়নি৷ আচমকাই পুলিশ কর্মীদের নজর যায় ঘরে রাখা একটি শোকেসের দিকে৷ শোকেস খুলতেই তার ভিতরে কম্বল মোড়া অবস্থায় বাবলু বৈশ্য নামে ওই বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার হয়৷ স্থানীয়দের থেকেই পুলিশ জানতে পারে, পলাতক গোপাল বৈশ্যর পিসতুতো দাদা প্রায় একমাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন৷ এর পরই পুলিশ বাড়ির চারপাশে তল্লাশি শুরু করে৷ তখনই বাড়ির একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে নিখোঁজ গোপাল রায়ের দেহ উদ্ধার করে৷
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বাবা বাবলু বৈশ্যর সঙ্গে ওই বাড়িতেই থাকত অভিযুক্ত প্রণব৷ কয়েক মাস আগে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে৷ মাঝেমধ্যে ওই বাড়িতে আসতেন প্রণবের পিসতুতো দাদা গোপাল৷ কেন প্রণব বাবা এবং দাদাকে খুন করল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তেও পাঠানো হয়েছে৷ কবে প্রণব বাবা এবং পিসতুতো দাদাকে খুন করেছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই তা স্পষ্ট হতে পারে৷ অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি৷