মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, ২০০৫ সালে ফরাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের দু' দিকে মোট ১২০ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধ এবং নদী পাড় সুরক্ষিত করার আওতায় নিয়ে এসেছিল কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক৷ কিন্তু ২০১৭ সালে এক তরফা ভাবে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কেন্দ্র৷ ফলে নদী ভাঙন আটকানোর কাজও ব্যাহত হয়৷
আরও পড়ুন: গঙ্গা ভাঙনের জেরে ভোগান্তি মানুষের! আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা
advertisement
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, গত ১৫ বছরে তিন জেলার প্রায় ২৮০০ হেক্টর কৃষি জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে৷ সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এক হাজার টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে৷ যদিও রাজ্যের তরফে বার বার কেন্দ্রকে নদী ভাঙন রোধে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করা হলেও কাজ হয়নি৷ উল্টে রাজ্যের তরফেই প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা খরচ করে নদী ভাঙন রোধের কাজ শুরু করা হয়েছে৷
তবে রাজ্যের পক্ষে যে এত বিপুল অর্থ ব্যয় কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন মু্খ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গঙ্গা- পদ্মার দু' পাড় সংলগ্ন ৩৭টি জায়গায় অবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা প্রয়োজন৷ যার জন্য প্রায় ৫৭১ কোটি টাকা প্রয়োজন৷
আরও পড়ুন: বাড়ল ক্ষতিপূরণের পরিমাণ, আরও উঁচু পদে চাকরি, দেউচা পাচামি নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার
কেন্দ্রীয় সরকার যাতে অবিলম্বে ফরাক্কা ব্যারেজের দু' দিকে ১২০ কিলোমিটার এলাকায় নদীর পাড় ভাঙন আটকানোর কাজের দায়িত্ব নেয়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
পাশাপাশি, মহানন্দা, ফুলহার, আত্রেয়ী, পুনর্ভবার মতো নদীগুলির জন্য দুই দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার একুশটি ব্লকও যে ভয়াবহ ভাঙনের সম্মুখীন হচ্ছে তাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এই এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশনেও রাজ্যের তরফে ২০২১ সালে পাঠানো হয়েছে৷ এই প্রকল্পেরও যাতে দ্রুত অনুমোদন মেলে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই আবেদন রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷