এ দিন দার্জিলিংয়ের ম্যালে জিটিএ-এর নবনির্বাচিত ৪৫ জন সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাহাড়কে নিয়ে তাঁর আগামী দিনের পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন মমতা৷ যে পরিকল্পনাগুলি শুনে একাধিকবার করতালিদিয়ে স্বাগত জানিয়েছে জনতা৷
আরও পড়ুন: পাখির চোখ এই দুই জেলা, আজ ধূপগুড়িতে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
advertisement
বক্তব্যের শুরুতেই শান্তিপূর্ণ ভাবে জিটিএ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে পাহাড়বাসীকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পরে মমতা বলেন, 'আপনাদের কথা দিতে হবে, আগামী দিনে পাহাড়ে কোনও ধান্দাবাজ নেতাকে আপনারা গন্ডগোল করতে দেবেন না৷ শান্তি থাকলেই পাহাড়ের অর্থনীতিতে জোয়ার আসবে৷' এ কথা বলেই একে একে পাহাড় নিয়ে নিজের একাধিক পরিকল্পনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী৷
মমতা জানিয়েছেন, দার্জিলিংয়ের অধিকাংশ জায়গাই অত্যন্ত ঘিঞ্জি হয়ে যাচ্ছে৷ হকারদের ভিড়ে রাস্তাও সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে৷ তাই দার্জিলিংয়ে দুশো একর জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে নতুন শিল্প তালুক, বাজার, দোকান, হোম স্টে, শপিং মল, খাবারের দোকান করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার কথা জানান তিনি৷ কালিম্পং, কার্শিয়াং নিয়েও একই ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের৷
আরও পড়ুন: দলে থেকেও ব্রাত্য! দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাতেও এই বিধায়ককে কেন ডাকল না বিজেপি?
২০২৪ সালের শেষ দিকেই পাহাড়ে বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ পৌঁছে দিয়ে দীর্ঘদিনের পানীয় জলের সমস্যার অবসানের প্রতিশ্রুতিও দেন মুখ্যমন্ত্রী৷
পাশাপাশি পাহাড়ে আরও বেশি করে হোম স্টে তৈরির উপরে জোর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চা বাগানগুলিতে হোম স্টে পরিষেবা শুরু করার যে প্রস্তাব রাজ্যের কাছে এসেছে, তাতেও ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানিেয় দেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এ ছাড়াও, সম্ভাবনাময় শিল্পের প্রতিনিধিদের নিয়ে পাহাড়ে বাণিজ্য সম্মেলন করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ শুধু তাই নয়, পাহাড়ে শান্তি বজায় থাকলে আইটি শিল্পের প্রতিনিধিদেরও পাহাড়ে বিনিয়োগ করার জন্য তিনি অনুরোধ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পাশাপাশি, ওষুধ উৎপাদন, শিক্ষা, পর্যটন, হর্টিকালচার মতো ক্ষেত্রেও জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
পাহাড়বাসীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি দখল করতে আসিনি, আপনাদের ভালবাসতে এসেছি৷'