উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বার্তা। ২১ জুলাইয়ের আগে কর্মীদের বার্তা শাসক দলের দুই হেভিওয়েটের। শাসক দলের দুই হেভিওয়েটের উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে তাই জমজমাট রাজনৈতিক মহল। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১৩ ও ২০১৭ সালে পাহাড়ে অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে৷ পাহাড়ের মানুষ দীর্ঘ বনধের রাজনীতি দেখে এসেছে। যদিও ধীরে ধীরে অবস্থা বদলেছে বিগত নয় বছরে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঁকে বাঁকে পোস্টার-ব্যানার! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পাহাড়
রাজ্য প্রশাসন পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন করিয়ে নিতে চাইছিলেন। পাহাড়ের একাধিক রাজনৈতিক দলকে নিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ, বিজেপির মতো রাজনৈতিক দল জিটিএ নির্বাচনে লড়াই না করলেও, পাহাড়ের একাধিক আঞ্চলিক দল এতে যোগ দেয়। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
শেষ মেষ পাহাড়ের উন্নয়নে জিটিএ বোর্ড যে জরুরি তা বুঝিয়ে দেয় প্রশাসন। এমনই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে আসছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আগামী দিনে পাহাড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে পারেন তিনি৷ এছাড়া পাহাড়কে কেন্দ্র করে একাধিক উন্নয়নের বার্তাও শোনা যেতে পারে তার গলায়।
আরও পড়ুন: জঙ্গল দখলের লড়াই! দার্জিলিংয়ে চিতাবাঘের মর্মান্তিক পরিণতি
পাহাড়ে অশান্তি নয়, পাহাড়ের উন্নয়ন হলে যে অঅর্থনৈতিক পথ সুগম হবে সেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য প্রশাসন। অন্যদিকে দীর্ঘ দিন ধরে দার্জিলিং লোকসভা আসন বিজেপির দখলে। অনীত থাপার দলকে জিটিএ চালাতে সাহায্য করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ফলে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই পাহাড় সফরে প্রশাসনিক উন্নয়নের পাশাপাশি, এখন থেকেই যে ২০২৪ এর রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়ে যেতে পারে সেই বার্তা স্পষ্ট।এদিন উত্তরবঙ্গে আসছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আগামীকাল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সভা করবেন দলের। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলা নিয়ে হবে সভা৷ সেখানে উত্তরবঙ্গ নিয়ে দলের অবস্থান জানাবেন তিনি৷
