শিলিগুড়ির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রামপুরহাটে বড় ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছে। সিবিআইকে সব সহযোগিতা করব। কিন্তু সিবিআই ঠিকঠাক তদন্ত না করে বিজেপি, কংগ্রেসের কথা মতো কাজ করলে আমরা রাস্তায় নামবো। নোবেল থেকে নন্দীগ্রাম, নেতাই- সিবিআই করতে পারেনি। এই সবের বিচার হয়নি। তৃণমূল কাজ করছে এটা ওদের সহ্য হচ্ছে না।'
আরও পড়ুন: বগটুই গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে কথা, আহতদের বয়ান রেকর্ড, প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজে সিবিআই
advertisement
রামপুরহাট কাণ্ডে প্রথম থেকেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে জোর দিয়েছে তৃণমূল৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, 'ডেডবডির রাজনীতি করছে৷ আমরা বিরোধী দল ছিলাম। কিন্তু কোনওদিন দাঙ্গা লাগাতে যাইনি। ডেউচা যাতে না হয় তাই রামপুরহাট করে দিয়েছেন। তাজপুরে বন্দর হচ্ছে তাই এত হিংসা। উত্তরেও শিল্প বাড়ছে। আসল উদ্দেশ্য যাতে শিল্প না হয়, চাকরি না হয়। যাতে জ্বালানির মূল্য বাড়লে মানুষ প্রতিবাদ না করতে পারে৷'
আরও পড়ুন: জীবনতলা, চাঁচল, দেওয়ানদিঘি...মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই যা ঘটল এই এলাকাগুলিতে!
রামপুরহাটের ঘটনার তদন্তে প্রথমে সিট গঠন করেছিল রাজ্য সরকার৷ কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে সিট-এর বদলে তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী এ দিনও বলেন, বগটুই গ্রামের নৃশংস কাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য সরকার যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিয়েছে৷ একই সঙ্গে পুলিশেরও যে ভুল ছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'খুন হল তৃণমূল। যাদের বাড়িতে আগুন লাগল তারাও তৃণমূল। আমাকেই গালাগাল দিয়ে যাচ্ছে। হ্যাঁ, পুলিশের ভুল ছিল প্রথমে। একটা খুনের পরে ওদের আশঙ্কা করার কথা ছিল। পুলিশ সাসপেন্ড হয়েছে। ব্লক সভাপতি সহ অনেকে গ্রেফতার হয়েছে। ওই পরিবারগুলির সঙ্গে আমি কথা বলেছি। সাধ্য মতো আমি চেষ্টা করি৷'
অপরাধ আটকাতে আমজনতাকেও আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পাড়ায় পাড়ায়, 'এলাকায় এলাকায় গন্ডগোল যাতে না হয় তা দেখতে হবে।'