মঙ্গলবারের বৈঠকে দক্ষিণ দিনাজপুরের আইনশৃঙ্খলা প্রশ্ন নিয়ে বলতে শুরু করেছিলেন জেলা পুলিশের আধিকারিক। সেই সময়েই কথা শুরু হওয়ার কয়েক সেকেন্ড পরে মুখ্যমন্ত্রী বলতে শুরু করেন, "তোমাদের ওখানে একটা প্রবলেম আছে। বিএসএফ ঢুকে যায় গ্রামে গ্রামে। আর অনেক সময়ে সাধারণ মানুষের উপরে অত্যাচারের অভিযোগ আসে। ভোটের লাইনেও তাঁদের দেখা যায়। এই নিয়ে বিএসএফ-এর ডিজির সঙ্গে কখনও কথা হয়েছে?" প্রশ্ন করেন তিনি। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি ডিজি-বিএসএফের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
advertisement
এর পরেও বিস্তারিত বলতে থাকেন মমতা। তিনি বলেন, "কতগুলো জেলা, বিশেষ করে, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, এই জেলাগুলিতে প্রচুর বিএসএফ পুলিশকে না জানিয়ে যেখানে সেখানে ঢুকে যায়। নাগাল্যান্ডে কী হল দেখলেন তো, ভোটের সময় দেখেছেন, শীতলকুচিতে কী হয়েছে, কয়েকদিন আগে কোচবিহারে হয়েছে, এরা স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়ে কাজ করছে। কোনও রকম কনফ্রন্টেশন হোক আমি চাই না, কিন্তু সকলের কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।"
আরও পড়ুন: 'পড়ুয়ারা অপেক্ষা করে আছে! স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কাজে ঢিলেমি নয়', বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক করে মমতা উপদেশ, "আমাদের আইসিরা অনেকে ভাবেন, না না ওদের ছেড়ে দাও। কে কে ছেড়ে দেন? আপনার এলাকায় বাইরের লোক, মানে যাঁদের এই এলাকায় ঢোকার কথা নয়, তাঁরা কেন ঢুকবে? আইন-শৃঙ্খলা যাঁদের বিষয়, তাঁদের তো এই বিষয়গুলি লক্ষ রাখতে হবে। আমি জেলাশাসকদেরও বলব, সতর্ক থাকতে। এই ধরনের যদি কোনও অভিযোগ আসে, তাহলে আমি বলব, আইসিকে নিয়ে এলাকায় যাবেন, দেখে আসবেন পরিস্থিতি। বিএসএফ-কে বলবেন, এটা আপনার আইনি এলাকা নয়, আপনি, আপনাদের আইনি এলাকায় কাজ করুন। এ ভাবে কাজ করুন যাতে আইন রক্ষা করা আরও সহজ কাজ হয়।"
আরও পড়ুন: মমতার ফর্মুলাতেই বিজেপি-কে হারানোর অঙ্ক, গোয়ায় নতুন জোট সঙ্গী পেল তৃণমূল
শুরু থেকেই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাদের মধ্যে তৃণমূল প্রথম থেকেই এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। বার বার ফেডেরাল স্ট্রাকচারে আঘাতের প্রসঙ্গ এসেছে। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সে কথাও মনে করিয়ে দিলেন মমতা।