গোটা জেলার মানুষের কাছে তিনি বাবলা সরকার নামেই পরিচিত। রাজনৈতিক নেতা হলেও তিনি সমাজের জন্য নানান কাজ করতেন। দুস্থ, অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। শহরের ভবানীমোড়ে তাঁর উদ্যোগেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে কার্নিভালের অনুষ্ঠান। সেখানেই এক দৃষ্টিহীন কিশোরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। মঞ্চে দাঁড়িয়েই সেই সময় নিজের চোখ দানের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সেই ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
পাশাপাশি তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে মরণোত্তর দেহ দানের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। এই বিষয়ে রাজনৈতিক সহ কর্মীদের সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুমলা আগারওয়াল বলেন,৩১ জানুয়ারি আমারা একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানেই আমাকে উনি বলছিলেন ২ জানুয়ারি মরণোত্তর দেহ দানে অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করবেন তিনি। ঘনিষ্ঠ একজনকে আবেদন পত্র নিয়ে আসার জন্যও বলেন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এদিনই তিনি দুষ্কৃতীদের গুলিতে মারা গেলেন। শোকাহত আমরা!
আরও পড়ুন: পাহাড়ের ‘নওমতি বাজা’ সম্পর্কে জানেন? বলুন তো কী এই জিনিস? বহু মানুষ জানেন না
সিধান্ত নিয়েছিলেন ২ জানুয়ারি মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে আবেদন করবেন। এমনকি সমস্ত কিছু তিনি করেই নিয়েছিলেন। এদিনি মালদহ মেডিকেল কলেজ থেকে আবেদন পত্র নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেহদান আর করা হল না দাপুটে তৃণমূল নেতারা। এদিন মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি আসলেন গুলিবিদ্ধ হয়ে। শরীরের একাধিক জায়গায় দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়। চেষ্টা চালান চিকিৎসকেরা কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। যেদিন মরণোত্তর দেহ দানে অঙ্গীকার করতে চেয়েছিলেন সেদিনি দূর্ভাগ্যজনক ভাবে মারা গেলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত গোটা মালদহ।
হরষিত সিংহ