স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভূতনি থানার জুলাব্দিটোলা এলাকায় বাঁধের উপর রাস্তা দিয়ে প্রবল গতিতে গঙ্গার জল ঢুকছিল। সেই সময় ওই এলাকা দিয়ে সাইকেল নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই পড়ুয়া। ফেরার পথে এলাকায় গঙ্গার জল ঢোকার সময় স্রোতে সাইকেল সমেত ভেসে যান তিনি।
আরও পড়ুনঃ কালনা-শান্তিপুর সেতু নিয়ে সুখবর! পুজোর আগেই শুরু হয়ে গেল…! আশার আলো দেখছেন স্থানীয়রা
advertisement
এরপর বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগান তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, একদিকে বন্যা অন্যদিকে বন্যার জলে ডুবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হচ্ছে একের পর এক গ্রামবাসীকে। বন্যা বিপর্যস্ত এলাকায় কোনও রকম বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নেই বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থাকলে এমন পরিনতি হতো না বলে দাবি তাঁদের।
এদিকে এই ঘটনার পর গোটা গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পড়ুয়ার মর্মান্তিক পরিণতির পর বন্যা কবলিত ভূতনিতে দ্রুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সরকারি সহযোগিতার দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই আবহেই বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হল এক কিশোরীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার মালদহের ভূতনি থানার অন্তর্গত মহেন্দ্রটোলা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃতার নাম হেমাঙ্গিনী মন্ডল (১২)। পিতা বিজয় মন্ডল পেশায় কৃষক। মৃত ছাত্রী পশ্চিম নারায়নপুর হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন। এদিন বাড়ি সামনে বন্যার জমা জলে স্নান করতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। ওই বন্যার জলে তলিয়ে যান কিশোরী। পরপর মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।