মালদহের মানিকচকের লালবাথানি গ্রামে ১৯৫৩ সালে গড়ে ওঠে লালবাথানি হাই স্কুল। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৭৫০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে স্কুলে। শিক্ষক রয়েছেন ১১ জন। এর মধ্যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন স্কুলের দুই শিক্ষক। ফলে শিক্ষকের সংখ্যা কমায় স্বভাবতই স্কুলে শিক্ষকের ঘাটতি মেটাচ্ছেন লালবাথানি গ্রামের কালীসাধন মুখোপাধ্যায়। ২০১২ সালে তিনি অবসর নিয়েছেন। তবে স্কুলের রুটিন ধরেই ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের অঙ্কের ক্লাস নিচ্ছেন।
advertisement
সেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মানিক কুমার প্রসাদ বলেন, “৩৫ বছর ধরে কালী সাধন বাবুর সঙ্গে স্কুলে শিক্ষকতা করছি। প্রথম দিন থেকেই তিনি ঘড়ির কাঁটা ধরে সঠিক সময়ে ক্লাসে পৌঁছে যেতেন। অবসরের পরেও তিনি একইভাবে রুটিন মেনে ক্লাস নিচ্ছেন। তিনি যে অবসর নিয়েছেন তা বুঝতেই পারছি না। তিনি আমাদের মত শিক্ষকের কাছে অনুপ্রেরণা। তাঁর বিনা পারিশ্রমিকে স্কুলে শিক্ষকতা ঘাটতি মেটাচ্ছে শিক্ষকের।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একদিকে যেখানে শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিয়ে উত্তাল রাজ্য। তারই মধ্যে নিরুত্তাপ হয়ে অবসরের পরও ক্লাসে ব্ল্যাকবোর্ডে বীজ গণিতের অঙ্ক কষে ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে চলেছেন কালীসাধন স্যার। তার এমন চিন্তাধারা অনুপ্রেরণা জোগাবে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
জিএম মোমিন