এক শ্রেণির পান্ডা এখন অভিনব কায়দায় মহিলাদের সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিচ্ছে। খোদ পুলিশ পরিচয় দিয়ে এমন বেআইনি কাজ করছে একদল যুবক। মালদহ শহরের কুট্টিটোলা লেনে রাস্তায় টোটো দাঁড় করিয়ে পুলিশ পরিচয় দিয়ে টোটোর নথিপত্র যাঁচাইয়ের সঙ্গে সিটে বসে থাকা মহিলার যাত্রীর সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিল।
আরও পড়ুন: কী চরম দুর্দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে! যা বললেন আইনজীবী, মাথায় হাত অনুগামীদের
advertisement
বিষয়টি পরে বুঝতে পেরে ইংরেজবাজার থানার দারস্থ হয়েছেন বছর ষাটের ওই মহিলা।মালদহ শহরের মহেশমাটি এলাকার বাসিন্দা ওইমহিলার নাম গায়ত্রী সরকার(৬০)। এদিন সকালে ওই মহিলা মালদহ শহরের কালিতলা এলাকা থেকে একটি টোটোতে করে নিজের বাড়ি মহেশমাটি ফেরছিলেন । সেই সময় মোটরবাইকে করে কুট্টিটোলা এলাকায় দুই যুবক টোটো আটকায়। নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে টোটোর নথিপত্র যাঁচাই শুরু করে। তারপর মহিলাকে সোনার গয়না খুলতে বলে। মহিলা সোনার গয়না খুলতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ দমদমে বেআইনি নির্মাণ, পুরপ্রধানকে হাজিরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
তখন ওই যুবক বলে, পুলিশকে সহযোগিতা না করলে কিভাবে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। বেশকিছু পর মহিলা বাধ্য হন খুলতে। হাতের সোনার অলংকার ও গলার অলংকার খুলতেই একজন সেগুলি নিয়ে নেয়। পকেট থেকে কাগজ বার করে তারমধ্যে মুড়ে দেয় গয়নাগুলি। কাগজে মোড়ানো গয়না মহিলার হতে দিয়ে বাইক নিয়ে চলে যায় যুববকেরা। কিছুক্ষণ পর মহিলা মোড়ানো কাগজ খুলে দেখেন সেখানে তাঁর গয়না নেই। ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহিলা। মহিলার মেয়ে দেবলীনা চক্রবর্তী বলেন, দিনের আলোয় এই ধরনের ঘটনা। দিনেও আমরা নিরাপদে নেই। আজ আমার মায়ের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা সত্যিই বেদনাদায়ক। পুলিশকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অতি শীঘ্রই নেওয়া উচিত।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কুট্টিটোলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয় , এর আগেও শহরে বহুবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কোন কিনারা করতে পারেনী এখনো। যার জেরে ক্রমশ এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে মালদহ শহরে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।
—- হরষিত সিংহ