বর্তমানে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৫টি হাতির পায়ের ধাঁচে বাঁশের বেড়া বানিয়ে তাতে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালান হচ্ছে। যদিও ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজনদের অভিযোগ, এই নয়া প্রযুক্তি দ্বারা ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ হেনস্থার ভয় থাকলেও পেট বড় বালাই! মালদহ স্টেশনে পরিযায়ীদের ভিড় দেখলে চমকে যাবেন
advertisement
ইতিমধ্যেই ১৫টি হাতির পা অর্থাৎ বাঁশের বেড়ার মধ্যে ১১টি ভাঙনের জেরে জলে তলিয়ে গিয়েছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করতে হলে নয়া প্রযুক্তির প্রয়োজন। সেই সঙ্গে নিয়মিতভাবে ডাম্পিং পদ্ধতিতে ভাঙন রোধের কাজ করতে হবে বলে দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নতুন করে প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। গঙ্গা গ্রাসে বিলীন হয়েছে গ্রামের প্রায় ৬০টি পরিবারের ঘরবাড়ি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, সেচ দফতরের অধীনস্থ ঠিকাদার সংস্থা আলসেমি দেখিয়ে ইচ্ছেমত কাজ করছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে কাজ হলেও নিয়মিত ভাঙন রোধের কাজ হচ্ছে না। তাই ভাঙন কিছুতেই আটকান যাচ্ছে না। নিয়মিত কাজ হলেই একমাত্র ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিকে মালদহের মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালতিপুর গ্রামে আবারও ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। উল্লেখ্য, মালদহের এই গ্রাম থেকেই প্রায় ১৪ কোটি টাকার বরাতে ভাঙন রোধের কাজের সূচনা করেছিল সেচ দফতর। তবে সেই বরাদ্দকৃত অর্থের কাজ শেষ হতে না হতেই আবার ভাঙন শুরু হয়েছে ওই এলাকায়। গ্রামবাসীদের দাবি, নিয়মিত ডাম্পিং পদ্ধতিতে ভাঙন রোধের কাজ করা হোক।