মালদহের মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখপুরা গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই বাঁশের ঝুড়ি তৈরি হয়। নিজেরাই বাঁশ কেটে এনে হাতের কারুকার্যে তৈরি করেন এই ঝুড়ি। পাইকারদের অর্ডারের পাশাপাশি সাপ্তাহিক হাটে নিজেরাই সেগুলি বিক্রি করেন। সারা বছরই এই কাজ করে পরিবারের হাল ধরছেন এই হস্তশিল্পীরা।
আরও পড়ুনঃ পুজোর মুখে ভেঙে পড়ল বাড়ি! অসহায় পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস তৃণমূল কাউন্সিলরের
advertisement
এক হস্তশিল্পী শেখ ফারুক জানান, ‘এই গ্রামে আগে অনেকে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে ভিনরাজ্যে এবং শহরে যেতেন। তবে ভিনরাজ্যে কাজের ঝুঁকির ভয়ে সকলে এই কাজ শিখেছেন। গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। সারা বছর চাহিদা থাকলেও আমের মরশুমে এই ঝুড়ির চাহিদা বেশি থাকে। অর্ডারের পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে হাটে গিয়ে বিক্রি করি। এই কাজ শেখার পর ভিনরাজ্যে যেতে হচ্ছে না। বাড়িতেই রোজগার হয়, ভাল লাগছে’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জেলায় তেমন কাজ না থাকায় আজও অধিকাংশ খেটে খাওয়া শ্রমিক ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন। কেউ টাওয়ারের কাজে, কেউ আবার নির্মাণ কাজে যান অন্য রাজ্যে। এই অবস্থায় বাড়ি বসেই বিকল্প পথে রোজগারের দিশা দেখাচ্ছেন মালদহের এই গ্রামের বাসিন্দারা।