ঘরের মত চিমনি বানিয়ে তার ভেতর বিভিন্ন গাছের অপ্রয়োজনীয় ডাল পালার কাঠ দিয়ে অভিনব বিশেষ পদ্ধতিতে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হয় কয়লা। এরপর রৌদ্রে কিছুদিন শুকানোর পর বিক্রি করা হয় অর্ডার মত। এমনই ভাবে প্রায় ৩০ বছর ধরে মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুর এলাকায় কাঠ কয়লা তৈরি করে বিক্রি করছেন মারফত আলী। মূলত আম গাছ, গামার, জিগা ইত্যাদি গাছের ডালপালা দিয়ে তৈরি হয়ে কাঠ কয়লা।
advertisement
আরও পড়ুন : বাঙালি বিয়ের ঐতিহ্য, শাঁখার আতুঁড়ঘর বাজিতপুরে চরম ব্যস্ততা! কলকাতার বাজারে চাহিদা দেখার মতো
কাঠ কয়লা বিক্রেতা মারফত আলী জানান, “প্রায় সাতটি কাঠ পোড়ানোর চিমনি ঘর করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে এক দিন পর পর একটি চিমনি থেকে কয়লা বের করা হয়। আজও হোটেল, বিড়ি কারখানায় কাঠ কয়লার ব্যবহার রয়েছে। বাজারে ১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় কাঠ কয়লা। বিগত দিনে ব্যাপক চাহিদা ছিল। ভিন রাজ্যেও পাড়ি দিত জেলার কয়লা।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কয়লা প্রস্তুতকারক এক কারিগর শাব্দুল মোমিন জানান, “সারা বছরই কয়লা তৈরি করা হয় এখানে। প্রতিদিনই একটা চিমনি থেকে কুইন্টাল কুইন্টাল কয়লা বের করা হয়।” বিশেষ পদ্ধতিতে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি কাঠকয়লা বিক্রি করে হচ্ছে আয়। জ্বালানির অন্যতম জোগান দিচ্ছে এই কাঠ কয়লা। শুধু জেলা নয়, ভিন রাজ্যেও পাড়ি দিচ্ছে জেলার তৈরি কাঠ কয়লা। মালদহের মানিকচক এলাকায় বিশেষ পদ্ধতিতে এই কাঠ কয়লা তৈরি করে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন অনেকে।





