জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ থেকে চার মাস ধরে এই পাচার চক্রের হদিস পুলিশ সবচেয়ে বেশি পেয়েছে। জেলার বৈষ্ণবনগর ও কালিয়াচক থানা এলাকায় সবচেয়ে বেশি মাদক পাচার চক্রের অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য থানা এলাকাতেও পুলিশ পুলিশ পাচারকারীদের ধরতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।মালদহ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় মাদক তৈরীর কারখানা তৈরি হয়েছে। ঝাড়খান্ড সহ উত্তর পূর্ব ভারত থেকে এই মাদক তৈরীর কাঁচামাল নিয়ে আসা হচ্ছে। তারপর সেগুলি এখানে তৈরি হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার চলছে। মালদা জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৬৬ টি মামলা হয়েছে মাদক পাচার সংক্রান্ত। ৮১ জন গ্রেফতার হয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
advertisement
ইতিমধ্যে পুলিশ এই সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে নানা রকম শিবির করা হচ্ছে। স্কুল ও অন্যান্য জনবহুল এলাকা গুলিতে সাধারণ মানুষদের নিয়ে বিশেষ শিবিরের মাধ্যমে মানুষকে বোঝানো হচ্ছে।
এই পাচার চক্র সক্রিয় উঠলে সমাজে কী কী কুপ্রভাব পড়তে পারে, সে সমস্ত বিষয়গুলিও সাধারণ মানুষকে বোঝাচ্ছে জেলা পুলিশ। এছাড়াও নিয়মিত গোটা এলাকা জুড়ে চলছে পুলিশি তল্লাশি। এক কথায় জেলার এই এলাকাগুলি থেকে পাচার চক্র বন্ধ করতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে চলেছে মালদহ জেলা পুলিশ।
—– হরষিত সিংহ