পুরাতন মালদহের মহিষবাথানি পঞ্চায়েতের পীরগাই গ্রামে বাড়ি। কৃষক পরিবারের মেয়ে। বাবা পেশায় কৃষক। খেলাধূলা থেকেই শুরু হয় তাঁর জীবন গড়া। খেলাধূলার মাধ্যমে তাঁর জীবন গড়ার পথচলা শুরু হয়। কর্ম জীবনে তিরন্দাজিকে সঙ্গী করে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার স্বপ্ন শুরু হয়।
আগামিদিনে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার আগ্রহ রয়েছে তাঁর। ২০১৭ সাল থেকে তিরন্দাজিকে বেছে নিয়েছিলেন মন্দিরা। তারপরে পঞ্জাবে শুরু হয় পড়াশোনা এবং সেখানে প্রশিক্ষক অচিন কুমারের শুরু হয় তাঁর তিরন্দাজির পেশাগত প্রশিক্ষণ।
advertisement
ছোট থেকেই তার খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ ছিল। তারপর ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা খেলাধূলার মাধ্যমেই। মন্দিরা রাজবংশী বলেন, ‘‘আমার এই সাফল্যর পিছনে পরিবারের যথেষ্ট সহযোগিতা রয়েছে। পরিবারের জন্যই আজ আমি এই পর্যায়ে খেলাধূলা করতে পারছি। আগামীতে আমার আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই আমি তিরন্দাজ খেলার প্রতি ঝুঁকে পড়ি।’’ বাবা রমেশ রাজবংশী বলেন, ‘‘মেয়ের এমন সাফল্যে আমরা খুব খুশি,গর্বিত। আগামীতে মেয়ে যেন আরও ভালভাবে এগিয়ে যায়, সেই কামনা করি। আন্তর্জাতিক স্তরের খেলার সুযোগ যেন পায় সেই সাফল্য কামনা করছি।’’
বেঙ্গালুরুতে কর্ণাটক পুলিশের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় অল ইন্ডিয়া পুলিশ গেমসের। তিরন্দাজিতে অংশগ্রহণ করেন মন্দিরা রাজবংশী। অন্যান্য রাজ্যের সমস্ত খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হয়ে লড়াই করেন। লড়াই শেষে বিজয়ী হয়ে তিরন্দাজিতে সোনার পদক অর্জন করেন তিনি।
২০২২ সালে আসাম রাইফেলসে একজন কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন। তবে তাঁর জীবনের সাফল্যের পিছনে খেলাধূলার অবদান তাৎপর্যপূর্ণ। কর্মজীবন থেকেও বর্তমানে বিভিন্ন ন্যাশনাল হোক বা পুলিশ গেমস হোক প্রত্যেক খেলাতে অংশগ্রহণ করেন। আগামীতে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার স্বপ্ন রয়েছে তাঁর।
হরষিত সিংহ