এক কার্পেট শিল্পী মকবুল মোমিন জানান, “প্রশাসনের কাছে সমস্যাগুলো জানিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরেই কার্পেট ক্লাস্টার তৈরির কাজ চলছে, তবে সেই কাজ সম্পূর্ণ হচ্ছে না। কার্পেট তৈরি হলেও ফিনিশিং ও বাণিজ্যিকীকরণের জন্য ভিনরাজ্যে পাঠাতে হচ্ছে। যার ফলে দাম মিলছে না শিল্পীদের। তাই এখনও ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন জেলার কার্পেট শিল্পীরা। কাজটি সম্পন্ন হলে এলাকায় কর্মসংস্থানের সংখ্যা বাড়বে।”
advertisement
কার্পেট শিল্পীদের সমস্যার কথা জানতে পেরে এদিন মালদহ ইংরেজবাজার ব্লকের সাতটারি এলাকায় নবনির্মিত কমন প্রোডাকশন সেন্টার ফর কার্পেট উইভিং অর্থাৎ কার্পেট কারখানা প্রদর্শন করেন জেলা প্রশাসন আধিকারিকরা। সমস্যা শুনে জেলা হস্ততাঁত উন্নয়ন আধিকারিক আনন্দমোহন দাস জানান, “জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্পেট শিল্পী রয়েছে। বর্তমানে মালদহ সদর মেগা কার্পেট ক্লাস্টারে নথিভুক্ত রয়েছেন ১০০৮ জন কার্পেট শিল্পী। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের এই কারখানায় কাজ চলছে এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে ক্লাস্টার তৈরির কাজের জন্য কার্পেট শিল্পীদের দাবি মতো রাজ্য সরকারকে প্রোজেক্ট প্রোপোজাল পাঠানো হবে। যাতে সমস্ত কাজ এখানেই হয়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কারখানা তৈরি হলেও জেলায় শুধুমাত্র উইভিংয়ের কাজ হয়। পরের পর্যায়ের কাজ এবং বাণিজ্যিকীকরণের জন্য ভিনরাজ্যে কার্পেট পাঠাতে হয়। পরিকল্পনা ছিল জেলাতেই কার্পেট হাব তৈরি হবে, যেখানে উইভিংয়ের পর ক্লিপিং, ডায়িং, ফিনিশিং এবং প্যাকেজিং করে সরাসরি বিদেশে রফতানি করা হবে। তবে আজও সেই কাজ অধরা। তাই এই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন জেলার কার্পেট শিল্পীরা।





