বিস্ময় বালিকা লামিসা আহমেদ। বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তেঁতুলবাড়ি এলাকায়। হরিশ্চন্দ্রপুরের কিরণবালা বালিকা বিদ্যাশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সে। ক্লাসে সেই ফার্স্ট গার্ল। বিজ্ঞান অভীক্ষা থেকে শুরু করে একাধিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শীর্ষে লামিসা। এই কৈশোর বয়সেই সে রপ্ত করে ফেলেছে বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষা। সেই ভাষায় কবিতা লিখে আবৃত্তিও করে। এখন সে ইংরেজি ভাষায় একটি উপন্যাসও লিখতে শুরু করেছে। তার এই বহুমুখী প্রতিভায় মুগ্ধ স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অভিভাবকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ১০ টাকার চিপসের প্যাকেটে কতটা চিপস থাকে? জানলে হতবাক হবেন আপনি!
শুধু যে লেখালেখিতে তাঁর প্রতিভা রয়েছে তা নয়। ছবি আঁকা থেকে শুরু করে স্বরচিত কবিতা, আবৃত্তি এবং হাতের কাজেও যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেছে। স্কুলের সিলেবাসের বই ছাড়াও ইংরেজি ভাষায় এনসাইক্লোপিডিয়া ও হেরি পটারের গল্পের বই তার কণ্ঠস্থ। গোয়েন্দা, কিশোর গল্প সমগ্র, লালু, হযবরল, মাকু ও কোনি-সহ একাধিক গল্পের বই পড়ে ফেলেছে। কিন্তু কী ভাবে এমন বিস্ময় প্রতিভা পেল লামিসা? বিস্ময়বালিকা লামিসা আহমেদ জানায়, তাঁর অনুপ্রেরণা কবিগুরু।
আরও পড়ুন: গ্রুপ ডি-তে সদ্য চাকরি-হারা ১৯১১ জন, ওয়েটিং লিস্টের ১৪৪৪ জনের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন
দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী পড়ে জানতে পারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিশোর বয়স থেকে কবিতা লেখতে শুরু করেছিলেন। সেই থেকে ধীরে ধীরে তার কবিতা লেখা শুরু। প্রথমদিকে ভালো না হলেও মায়ের কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে একেরপর এক কবিতা লিখে ফেলেছে। ইতিমধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় ২০ থেকে ২৫ টি কবিতা লিখেছে। পাশাপাশি 'আলিয়া দি ম্যাজিক স্টোন' নামে ইংরেজি ভাষায় একটি উপন্যাসও লেখতে শুরু করেছে। যা ইতিমধ্যে ৪৫ পাতা লেখা হয়ে গেছে।
বড় হয়ে কী হতে চায় লামিসা? সে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে কলেজের প্রিন্সিপাল হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। তার লক্ষ্য নিজের হাতে বহু প্রতিভা তৈরি করা। লামিসা আহমেদের বাবা খাবির আহমেদ জানান, তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে লামিসা বড়। খাবির সাহেব কৃষি দফতরের কর্মী। স্ত্রী ফারিদা ইয়াসমিন মিটনা হাইমাদ্রাসার একজন আংশিক শিক্ষকা। বাবা- মায়ের কথায়, লামিসা ছোট থেকেই প্রতিভাবান। ছোটবেলা থেকেই সিলেবাসের বই ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বই পড়া অভ্যেস। বাবার ইচ্ছে মেয়ে গবেষণা করে একজন বিজ্ঞানী হয়ে উঠুক।