১৯৭৪ সালে মালদা জেলার এই স্কুলটি স্থাপন হলেও পড়াশোনা চলত অন্যের জায়গায় একটি অস্থায়ী ছাউনিতে। প্রায় ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে এমন অবস্থায় দিন কাটত ছাত্র-ছাত্রী এবং স্কুল শিক্ষকদের। এলাকায় একমাত্র এটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় সমস্যা হলেও পড়তে আসতে হত পড়ুয়াদের। তবে এই স্কুলের নিজস্ব জায়গা এবং নিজস্ব ভবন হওয়ায় খুশির হাওয়া দেখা দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রী ও স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে।
advertisement
আরও পড়ুন: সাংঘাতিক ব্যাপার! এবার ভোটের লড়াইয়ে আম, প্রার্থী ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলি! আরও অনেকেই
স্কুল প্রধান শিক্ষক জয়নল আবেদীন জানান, “স্কুলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দেখতে পাই এই স্কুলের জরাজীর্ণ অবস্থা। বর্ষাকালে বৃষ্টির জল চুয়ে পড়ত টালির ছাদ বয়ে। হাঁটু জল হয়ে পড়ত গোটা স্কুল চত্বর। জরাজীর্ণ অবস্থার ফলে সাপের উপদ্রব বাড়ত স্কুল চত্বরে। যার ফলে ভয়ে স্কুল ছুট হতে দেখা দিত পড়ুয়াদের। এই সমস্যার কথা দীর্ঘদিন ধরে বলা হয় শিক্ষা দফতর ও প্রশাসনিক মহলে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আজ এই স্কুলের নিজস্ব জায়গা এবং ভবন হয়েছে। এখন নতুনভাবে স্কুলে আরও বেশি করে ছাত্রছাত্রীরা আসতে শুরু করেছেন।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে বর্তমান যুগে যেখানে সরকারি স্কুলে ডিজিটাল ক্লাসরুম এবং উন্নতমানের প্রযুক্তি দেখা দেয়। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রায় ৫০ বছর ধরে অস্থায়ী ছাউনির নিচে জরাজীর্ণ অবস্থায় চলা স্কুল ভাবাচ্ছে সকলকে। যদিও এমন প্রতিকূলতার পরও থেমে থাকেনি পড়াশোনা। যার কৃতিত্ব অধিকারী স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়ারা।
জিএম মোমিন