ওই সিনেমার শুরুতেই গ্রাম ছাড়া হন গুপী এবং বাঘা। তারপর ওই এলাকার একটি প্রাচীন বট গাছ, বাঁশ বাগান সংলগ্ন ফাঁকা এলাকায় সিনেমার দৃশ্যে শুটিং হয়। সেই প্রাচীন বট গাছ এবং বাগানটি আজও ওই গ্রামে রয়েছে। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলি কার্যত ধুঁকছে। বাঁশ বাগান জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে প্রাচীন সেই বট গাছ। বর্তমানে সেই জায়গার বেহাল জরাজীর্ণ দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: আসানসোলের ভগৎ সিং মোড়ে পুলিশ এ-কী করল! দাঁড়িয়ে পড়ল সাধারণ মানুষ, জানুন আসল ঘটনা
মালদহের গাজোল ব্লকের পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখান থেকে জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে ভিতরে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় রয়েছে হরিতকি গ্রাম। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই গ্রামে ৬০ বছর আগে উঁচু ঢিবি, পুকুর সংলগ্ন এলাকায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালিত ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমার দৃশ্যের শ্যুটিং হয়। তাই তারা চান এই এলাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রশাসনের তরফে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে গাজোল ব্লকের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, “গ্রামবাসীদের মুখে শুনেছি এই জায়গায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালিত ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমার শুটিং হয়েছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য এবং প্রমাণের ভিত্তিতে পর্যটন স্থল করার জন্য প্রশাসনিক স্তরে প্রস্তাব পাঠান হবে।”
সিনেমার ছয় দশক পার হয়ে গেলেও ওই গ্রাম পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় না আসায় গ্রামবাসীরা ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, মালদহ জেলায় বিশ্ব বিখ্যাত সিনেমা পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতিকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে এই জায়গাকে পর্যটন স্থলের আওতায় আনা প্রয়োজন।