কোন জায়গায় হাঁটু সমান জল, তো আবার কোনও জায়গায় জল গলা পর্যন্ত। জলে ডুবেছে এলাকার একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও। বাড়ির রান্নাঘর থেকে শুরু করে প্রতিটি ঘর সমস্ত কিছুই ডুবে রয়েছে গঙ্গার জলে। এমন অবস্থায় ব্যহত প্রায় চারটি গ্রামের জনজীবন। ঘর ছেড়ে বর্তমানে বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। সেখানে ত্রিপলের অস্থায়ী ছাউনির নিচে অপেক্ষায় বসে রয়েছেন ত্রাণের আশায়।
advertisement
আরও পড়ুন : এই মন্দির দেখেছেন বহু মানুষ, কিন্তু আসল নাম অনেকে জানেন না! কোথায় বলুন তো?
তবে বন্যা পরিস্থিতির পর কোনওরকম সরকারি সহযোগিতা আসেনি বলে অভিযোগ বন্যায় প্লাবিত গ্রামবাসীদের। তাদের অভিযোগ, প্রতিবছর ভাঙন হচ্ছে, বন্যা হচ্ছে। কিন্তু কোনও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। বিগত কয়েক বছরে গোপালপুর পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রাম চলে গিয়েছে গঙ্গা গর্ভে। বাঁধ ভাঙার পর গঙ্গার জল গ্রামে ঢুকেছে। গোটা গ্রাম এখন জলের তলায়। ঘরবাড়ি ছেড়ে বর্তমানে বাঁধের উপর থাকতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন : জঙ্গলীবাবার মন্দিরে শেষ সোমবারের ভিড়, তার মাঝে রাত থেকে চলছে দাঁতালের লড়াই! বন দফতর যা করল
এই প্রসঙ্গে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শেখ সাকিরুদ্দিন জানান, এলাকার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা চলছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফি বছরই ভাঙন ও বন্যায় বিপর্যস্ত হয় মালদহ জেলার মানিকচক, রতুয়া, বৈষ্ণবনগর এলাকার গঙ্গা তীরবর্তী একাধিক গ্রাম। প্রশাসনের তরফে প্রত্যেকবার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস মিললেও, বাস্তবে সমাধান এখনও অধরা।