এমন সাফল্যে খুশি ছাত্রীর বাবা-মা থেকে আত্মীয় পরিজনেরা। স্কুল ছাত্রীর বাবা ইন্দ্রদেব সেনগুপ্ত বলেন,”মেয়ের এমন সাফল্যে আমরা খুশি। আগামীতে মেয়ে অলিম্পিক খেলুক এই আশা রয়েছে। তবে আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। বন্ধু আত্মীয়দের সহযোগিতায় মেয়েকে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় পাঠিয়েছিলাম। কারও সাহায্য ছাড়া মেয়েকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।”
পুরাতন মালদহ শহরের বাচামারি এলাকার বাসিন্দা রীতিকা। বাবা ইন্দ্রদেব সেনগুপ্ত বেসরকারি সংস্থার কর্মী৷ মা অর্পিতা সেনগুপ্ত সাধারণ গৃহবধূ৷ ১৪ বছরের রীতিকা নবম শ্রেণির ছাত্রী৷ ২০১৭ সাল থেকে যোগা প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে রীতিকা৷ মালদহের সঙ্গে হুগলির ত্রিবেণীতেও প্রশিক্ষণ নিয়েছে। যোগার প্রতি তার একাত্মবোধ তৈরি হওয়াটাও খানিকটা অন্যরকম৷ ছোটতে মা-বাবা চেয়েছিলেন, মেয়ে নাচ শিখুক৷ তাঁরা মেয়েকে নাচের ক্লাসে ভর্তি করে দেন৷ নাচার সময়ই রীতিকার ভাল লাগার তালিকায় চলে আসে যোগা৷ সেই শুরু৷
advertisement
আরও পড়ুনঃ Rohit Sharma: রোহিতকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে মুম্বই! কোন দলে খেলবেন হিটম্যান
এর আগে নবদ্বীপে রাজ্যস্তরের এক যোগা প্রতিযোগিতাতেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রীতিকা সেনগুপ্ত বলে,”অসমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই জাতীয় প্রতিযোগিতা। আমার বিভাগে আমি স্বর্ণপদক জিতেছি। খুব ভাল লাগছে। আগামীতে আরও এগিয়ে যেতে চাই।” আগামীতে আন্তর্জাতিক স্তরের যোগা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ইচ্ছা রয়েছে রীতিকার। এখন থেকে শুরু হয়েছে কঠোর পরিশ্রম প্রশিক্ষণ।
হরষিত সিংহ