উল্লেখ্য গত প্রায় পাঁচ মাস থেকে বাঁধ ভেঙে অচল অবস্থায় ভুতনির দক্ষিণ চণ্ডিপুর কাটা বাঁধের যাতায়াত ব্যবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছিলেন ভুতনির লক্ষাধিক মানুষ। যাতায়াতের ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা ছিল নৌকা। ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাতদিন নৌকায় করে যাতায়াত করতে হত প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার গ্রামবাসীদের। তাই এবারে গ্রামবাসীদের সুবিধার্থে গ্রামের কিছু যুবকরা মিলে তৈরি করলেন আস্ত একটি ভাসমান ব্রিজ। এলাকার বিশেষ ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাঁশের এই অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক ব্যবস্থার সাড়া না পেয়ে অবশেষে গ্রামেরই যুবক গৌরাঙ্গ মণ্ডল, বঙ্কিম মণ্ডল, দানেশ আলী-সহ গ্রামের যুবকবৃন্দরা মিলে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রামবাসী থেকে নিত্যযাত্রীরা।
advertisement
গ্রামের যুবক গৌরাঙ্গ মণ্ডল জানান, “প্রায় চার মাসের অধিক সময় ধরে নৌকায় করে যাতায়াত করছেন গ্রামবাসীরা। নৌকার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হত। এমনকি অনেক সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে একাধিক মানুষকে। বন্যা পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এখনও অচল থেকে গেছে ভুতনির দক্ষিণ চণ্ডিপুরের যাতায়াত ব্যবস্থা। তাই স্থায়ীভাবে না পেরে নিজেরাই গ্রামের বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে চাঁদা তুলে অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করেছি। ভারি যান পারাপার না করলেও মোটরবাইক ও সাধারণ মানুষ সুষ্ঠুভাবে যাতায়াত করতে পারবেন এই ব্রিজের উপর দিয়ে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোনও ইঞ্জিনিয়ার বা অভিজ্ঞ শ্রমিক দিয়ে নয়, গ্রামের যুবকরা নিজেরাই নদীতে নেমে নৌকার সাহায্যে কাজ করছেন এই ব্রিজ তৈরিতে। এই ব্রিজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে বাঁশ, প্লাস্টিকের ড্রাম, লোহার পাত। প্রায় ১১০ ফুট দৈর্ঘ্য ভাসমান এই ব্রিজ বর্তমানে একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম ভুতনির দক্ষিণ চণ্ডিপুর কাটা বাঁধ এলাকার বাসিন্দাদের।





