বাবা কাজল রায় পেশায় একজন কৃষক। মঞ্জুরানী মণ্ডল রায় গৃহবধূ। পরিবারের আর্থিক প্রতিকূলতা থাকা সত্বেও থেমে থাকেনি এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই খেলাধুলায় দুর্দান্ত ফল করেন অনন্যা। মালদহের ভর্তিতাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অনন্যা রায়।
কোচ পুলক ঝা-এর কাছে নিয়মিত প্রশিক্ষণের পর স্কুল জেলা এবং রাজ্যের খেলার সুযোগ হয় অনন্যার। স্কুল থেকে রাজ্যস্তরে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক আনে অনন্যা। সেই থেকেই সুযোগ হয় ৬৯ তম ন্যাশনাল স্কুল গেমস অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায়। সেখানে অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগের শটপুট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অনন্যা। ১১. ৯৭ মিটার দূরত্বে লৌহ বল নিক্ষেপ করে দ্বিতীয় হয় অনন্যা রায়। তাঁর এমন সাফল্যে খুশির হাওয়া দেখা দিয়েছে জেলা ক্রীড়া মহলে।
advertisement
অনন্যার বাবা কাজল রায় জানান, “ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় মেধাবী অনন্যা। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই স্কুলে লৌহ বল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করত সে। এর আগে রাজ্য স্তরে প্রথম হয়ে জেলার নাম উজ্জ্বল করেছিল। আজ জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছে খুব ভাল লাগছে। আগামীতে বড় খেলোয়াড় করার ইচ্ছা রয়েছে মেয়েকে।”
আরও পড়ুন- পুষ্টির টানে কমলালেবু উৎসব! নজির গড়ল পটাশপুরের ‘এই’ বিদ্যালয়
২ থেকে তিন ডিসেম্বর পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের ইনডোরে অনুষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল স্কুল গেমস অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ৭০ জন প্রতিযোগীকে পিছনে পেলে দ্বিতীয় হয় অনন্যা রায়। জেলার কৃষকের মেয়ের এমন সাফল্যে খুশির হাওয়া দেখা দিয়েছে জেলা জুড়ে।





